নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশে ফিরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তরফে ১ কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিয়ে সাফজয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) থেকে আরো বড় পুরস্কারের ঘোষণা পেতে যাচ্ছেন সাবিনা-মনিকারা। সাবিনাদের দেশে ফেরার দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। তবে সেই বড় অংকটা কতবড় সেটা এখনো ঠিক করেনি বাফুফে। আগামী ৯ নভেম্বর সকালে বাফুফের প্রথম নির্বাহী কমিটির সভা হবে। ওই সভায়ই মেয়েদের পুরস্কারের পরিমাণ ঘোষণা করবেন বাফুফের নতুন সভাপতি। বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো বাফুফে ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। তার আগমনের বিকেলে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির আরো ১৭ জন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সভায় সদস্যদের নিয়ে সভাপতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে। এ সময় তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কিছু কথা বলেছি। তাও স্বল্প পরিসরে। কারণ, আমরা আগামীতে সিরিয়াসলি বসবো আমাদের নির্বাহী কমিটি ও সাব-কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে।’ মেয়েদের পুরস্কার ঘোষণায় কোনো চমক থাকছে কি না? জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘চমক আমি বলবো না। আমাদের নির্বাহী কমিটি থেকে মনে করি, নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অবশ্যই তারা কিছু ডিজার্ভ করে। মেয়েদের অর্জন ও প্রাপ্য নিয়ে আমরা ৯ নভেম্বর নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ওই বিষয়ে আমরা জানাব। আমি প্রস্তাব করব এবং নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দিলে আপনাদের জানাব। এটা নিশ্চিত বাফুফের পক্ষ থেকে ৯ নভেম্বর মেয়েদের জন্য একটা ঘোষণা আসবে। অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রাখার জন্যই বাফুফের অনুমোদন নিয়ে পুরস্কারের অংক নির্ধারণ করা হবে।’ এর বাইরে বাফুফের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে মেয়েদের পুরস্কার দেবেন কি না? এ বিষয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা শুনেছি ও প্রস্তাবও পেয়েছি অনেক ব্যক্তি ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা ও উপহার দিতে চায়। সেই আলোচনা আমাদের চলমান আছে। চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আমরা কোনো এগ্রিমেন্টেও আসিনি। তার মানে বাফুফের পাশাপাশি অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন মেয়েদের জন্য অবদান রাখবে।’ অতীতে দেখা গেছে সাফল্য বয়ে আনা মেয়েদের সংবর্ধনা দেওয়ার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপহার দিয়েছে। এবার যারা নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিতে চায় তারা উপহারের স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখবে কিনা এবং যারা আগ্রহ করছেন বাফুফে তাদের সঙ্গে আগেই এ বিষয়েই আলোচনা করবে কি না; জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমরা বর্তমান কমিটির সবাই সামনের দিকেই তাকাতে পছন্দ করব। পেছন দিকে একদমই তাকাচ্ছি না। আপনার এই কথাগুলোকে প্রশ্ন হিসেবে না নিয়ে পরামর্শ হিসেবে নিলাম এবং এটাকে খুবই দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।’