বাফুফের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কে কোন দায়িত্ব পেলেন

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) কাজী মো. সালাউদ্দিন অধ্যায়ের ইতি ঘটেছে গত ২৬ অক্টোবর। নির্বাচনে জিতে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নতুন সভাপতি হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার নেতৃত্বে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার। এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। নতুন সভাপতি তাবিথ নিজেই ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। পাশাপাশি নিজের অধীনে রেখেছেন জাতীয় দল কমিটিও। ২০১২-২০ সাল পর্যন্ত তাবিথ জাতীয় দল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন। আগের মতই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান।

এ ছাড়া সহ-সভাপতিদের মধ্যে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ডেভলপমেন্ট, ফাহাদ করিম মার্কেটিং, সাব্বির আহমেদ আরেফ ঢাকা মহানগরী ফুটবল কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন। মিডিয়ায় ব্রিফের সময় কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি হ্যাপির ব্যাপারে কিছু বলেননি। ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়া হ্যাপি অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়াদি সংক্রান্ত এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কমিটি।

সদস্যদের মধ্যে ইকবাল হোসেন জেলা ফুটবল, টিপু সুলতান পাইওনিয়ার, মাহফুজা আক্তার কিরণ নারী ফুটবল, বিজন ও গাউস যুগ্মভাবে স্কুল ফুটবল, অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মঞ্জুরুল করিম, অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে ছাইদ হাসান কানন, প্রকিউরমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন জাকির হোসেন চৌধুরি। নির্বাহী কমিটির বাইরে থেকে দুইজন দুটি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। রাজবাড়ী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের দুলাল ডিএফএ মনিটরিং কমিটি ও গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেক আমলা জকোরিয়া। আজকের সভায় শুধু কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছে।

বাফুফের প্রথম সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু। তিনি স্ট্যান্ডিং কমিটি নিয়ে বলেন, ‘আজকের সভায় শুধুমাত্র ফিন্যান্স কমিটির মেয়াদ ৪ বছর নির্ধারিত হয়েছে। বাকি কমিটিগুলো এক বছরের জন্য। এক বছর পর মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে রিনিউ হবে।’ কমিটির পূর্ণাঙ্গতা প্রসঙ্গে আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমাদের ১৩৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। এদের মধ্য থেকেই কমিটিগুলো গঠন করা হবে আমরা এ রকম আলোচনাই করেছি।’

সাবেক জাতীয় ফুটবলার ছাইদ হাসান দেড় যুগ পর আবার ফেডারেশনের কমিটিতে ফিরেছেন। সাবেক তারকা ফুটবলারের কোচিং সংক্রান্ত জ্ঞানও অনেক। তিনি আজকের সভায় টেকনিক্যাল কমিটির দায়িত্ব নেয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরিবর্তে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন বাফুফের আরেক সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন। কাননের তুলনায় টেকনিক্যাল বিষয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। যদিও বিগত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহীও টেকনিক্যাল ব্যক্তি ছিলেন না। লিগ, নারী ও প্রকিউরমেন্ট এই তিন কমিটির চেয়ারম্যান পুর্নবহাল হয়েছেন। পুরোনোদের দায়িত্ব থাকা প্রসঙ্গে আমিরুল ইসলাম বাবুর উত্তর, ‘যারা বিগত সময়ে দায়িত্বে সফল ছিলেন এবং পুনরায় জিতে এসেছেন তাদের আগের দায়িত্বেই রাখা হয়েছে।’

বিগত কমিটির সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি ছিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তাবিথ আউয়াল তাকে নারী ফুটবলে রেখেছেন। বর্তমান নির্বাহী কমিটির মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ সত্যজিত দাশ রুপু। সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ২০০৮ সাল থেকে টানা ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তাকে কোনো কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়নি।

প্রথম সভায় আলোচ্যসূচি ছিল ২৮টি। এর মধ্যে বাফুফের দেনা-পাওনা, সম্পত্তির হিসাবসহ অনেক কিছুই ছিল। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বাবু বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। যেগুলো আমাদের আভ্যন্তরীণ। অনেক এজেন্ডা ছিল কমিটি সংক্রান্ত। স্ব স্ব কমিটি সেগুলো পরবর্তীতে উপস্থাপন করবে।’