আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আবারো মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এরই মধ্যে খবর রটেছে আইসিসির বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। পাকিস্তানও তাদের দেশে আয়োজনে অনড় অবস্থানে রয়েছে। ফলে এবার আর এশিয়া কাপের মতো ‘হাইব্রিড মডেলের’ পথে হাঁটবে না পাকিস্তান। প্রতিটি ম্যাচ ঘরের মাঠে আয়োজন করতে চায় তারা। এবারের টুর্নামেন্টে ভারত অংশ না নিলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানালেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ড-পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতা সবশেষ হয়েছিল ২০১৭ সালে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান, ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে। সাত বছর পর আবারো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পর্দা উঠবে আসরের। শেষ হবে ৯ মার্চ। ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে।
রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের কারণে ২০০৮ সালের পর পাকিস্তানে সফর করেনি ভারত। প্রতিবেশী দুই দলের দেখা হয় কেবল বহুজাতিক টুর্নামেন্টে। গত বছরের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে খেলতে যায়নি ভারত। কারণ হিসেবে সে সময় তারা জানিয়েছিল, পাকিস্তান সফরের অনুমতি সরকারের পক্ষ থেকে না পাওয়ার কথা। অনেক টানাপোড়েনের পর পরে ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজন করা হয় আসরটি। ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে গত শুক্রবার খবর ছড়ায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই পাকিস্তান সফরে যেতে অনিচ্ছার কথা পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছে। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভারতের ম্যাচগুলো খেলার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
ওইদিনই পরে নাকভি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তুলে ধরেন তাদের অবস্থান। ‘গত দুই মাস ধরে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে যে, ভারত (পাকিস্তানে) আসছে না। আমি তাদের এবং আমার দলের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, তাদের কোনো আপত্তি থাকলে সেটা লিখিতভাবে জানাতে হবে। এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, আর এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেও আমরা রাজি নই। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হলেও পিসিবির কাছে (ভারত) আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পৌঁছায়নি।’
পিসিবির প্রধান নাকভির মতে, ভারত না চাইলেও অন্য সব দেশের চাওয়া, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলো পাকিস্তানে হোক। ‘আমি কয়েকটি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তারা সবাই এখানে খেলার জন্য মুখিয়ে আছে।
আমার মনে হয় না, এটাকে রাজনৈতিক বিষয় বানানো কারো উচিত। আমরা প্রতিটি দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দেব। আমরা চাই বিদেশ থেকেও সমর্থকরা এই টুর্নামেন্টে আসুক।’