ছাত্র জনতার বিপ্লবে পট পরিবর্তনের পর সোনালী অতীত ক্লাবে পরিবর্তনের দাবি উঠেছিল। ক্রমেই সেটি জোরাল হচ্ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক ফুটবলারদের এই সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুল গাফফার। তারপরই শুরু হয় মধ্যবর্তী নির্বাচনের তোরজোড়। গত শনিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচন। তাতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোসাব্বের হোসেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইকবাল গাফফার। সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক তারকা স্ট্রাইকার শেখ মো. আসলাম। কমিটির ছয় সহ-সভাপতি আবু নোমান নান্নু, আবদুল মান্নান, কাজী আনোয়ার হোসেন, কাজী জসিম উদ্দিন জোসি, জাকির হোসেন চৌধুরী ও মমিনুল ইসলাম খসরু। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহসান হিরো, কোষাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান, ক্রীড়া সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, দপ্তর সম্পাদক মামুন বাবু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মিলন, প্রচার সম্পাদক কামাল আহমেদ বাবু, লাইব্রেরি সম্পাদক মাহবুব হোসেন রক্সি।
সদস্যরা হলেন- আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সৈয়দ গোলাম জিলানী, আবদুর রাজ্জাক দীলিপ, সাইদুজ্জামান শামীম, কামরুল ইসলাম দীপু, রাশেদুল হাসান শামীম, মুরাদ আহমেদ মিলন, সফিক উল কাদের মুন্না, আলফাজ আহমেদ, কবির উদ্দিন সরকার, মিজানুর রহমান ডন ও আশরাফুল হক আপেল। ৫ আগস্টের পর সভাপতি আবদুল গাফফার ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন। যার কারণে মধ্যবর্তী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল।
মোসাব্বের সত্তর আশির দশকের তারকা ফুটবলার ছিলেন। মোহামেডানের মোসাব্বের হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। ফুটবলার হিসেবে অবসরের পর থেকে সোনালী অতীত ক্লাবের সঙ্গেই জড়িত মোসাব্বের। শেষ পর্যন্ত সভাপতি মনোনীত হওয়ায় সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে অদ্যাবধি ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। আপনারা এখন সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। চেষ্টা করব ক্লাবের সম্মান বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য।’