জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম তিন রাউন্ডে পাঁচ ইনিংসের তিনটিতেই শূন্য রানে ফেরা শাহাদাত হোসেন এবার নিজেকে মেলে ধরলেন। ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে উপহার দিলেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়ে বরিশালকে গুঁড়িয়ে দিলেন আশরাফুল হাসান। অল্প রানের লক্ষ্যে বড় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম। গতকাল সোমবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। চলতি জাতীয় লিগে এটি তাদের প্রথম জয়। বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়ার পর জাতীয় লিগেও রান পাচ্ছিলেন না শাহাদাত। অবশেষে জ্বলে উঠলেন তিনি, খেললেন ১০ চারে ১১৬ রানের ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় শতক। অল্পের জন্য তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পাননি ইয়াসির আলি চৌধুরি। ৪ ছক্কা ৭ চারে ৯৯ রান করেন তিনি। তাদের নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান করে চট্টগ্রাম।
৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা বরিশালের ব্যাটিং একাই ধসিয়ে দেন আশরাফুল। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষকে স্রেফ ৭৭ রানে গুটিয়ে, ৮৩ রানের লক্ষ্য অনায়াসে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা আশরাফুল স্রেফ ২২ রান দিয়ে ধরেন ৬ শিকার। এই সংস্করণে প্রথমবার তিনি পেলেন ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ। প্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিল ৪টি।
ম্যাচে তার উইকেট ১০টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। ৩ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা চট্টগ্রামকে কিছুক্ষণ টানেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শাহাদাত ও ইয়াসির। ৮১ রান নিয়ে খেলতে নামা ইয়াসির এক রানের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিলেও সেঞ্চুরি পূরণ করেন শাহাদাত। ৬৪ রানে দিন শুরু করা শাহাদাত তিন অঙ্কে পা রাখেন ২২৭ বলে। এরপর দ্রুত গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। শেষ ৬ উইকেট হারায় তারা ৩৭ রানে। বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসে পরপর দুই বলে আঘাত হানেন নাঈম হাসান। এরপর একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকেন আশরাফুল। ইফতেখার হোসেনকে দিয়ে শিকার ধরা শুরু করেন আশরাফুল। এরপর সালমান হোসেন, তাসামুল হক, ফজলে মাহমুদ ও তানভির ইসলামকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
রান তাড়ায় ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলকে টানেন পারভেজ হোসেন ও নাঈম ইসলাম। তাদের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।