রাজধানীতে শীতের আগমনি বার্তা। গতকাল বুধবার দুপুরের পর শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেল বেশ গরম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা তেড়ে যাচ্ছিলেন বিচারক ও ম্যাট চেয়ারম্যানের (যিনি সিদ্ধান্ত দেন) দিকে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় জাতীয় কুস্তির একটি খেলাকে কেন্দ্র করে। পরে অবশ্য জাতীয় কোচ আশরাফ আলীর সিদ্ধান্তে কিছুটা শীতল হয় পরিবেশ। জানা গেছে, ৫৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে লড়াই করছিলেন সেনাবাহিনীর বিলাল হোসেন ও বিজিবির উজ্জ্বল মিয়া। এক পর্যায়ে দু’জনের পয়েন্টই ছিল ৩। তবে কসনের (যার ভয়ে প্রতিপক্ষের কুস্তিগীর পিছিয়ে যায়) দিক দিয়ে এগিয়ে বিলাল হোসেনই। কিন্তু ম্যাট চেয়ারম্যান বিজিবিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এতেই বাধে যত বিপত্তি। পরে আশরাফ আলীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য এসব সমস্যা সমাধান করতে ম্যাট চেয়ারম্যানের চেয়ারে নিজেই গিয়ে বসেন এক সময়ের ঢাকার অন্যতম পালোয়ান এবং কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ান। জাতীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে এমন অমø-মধুর এক দিন কাটল কাল। প্রথম দিনে পুরুষ ও মেয়ে দুই বিভাগের ২০টি ওজন শ্রেণির প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রয়াত জাতীয় কুস্তিগীর, বাংলাদেশ আনসার দলের কোচ ও রেফারি জাহাঙ্গীর আলমের স্বরণে ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও সব খেলোয়াড় মিলে মাঠে দোয়া ও মোনাজাত করেন। আজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।