চেনা পরিবেশ, পরিচিত দর্শক, তবুও ঘরের মাঠে সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় মালদ্বীপের কাছে হারল হাভিয়ার ক্যাবরেরার শিষ্যরা। গতকাল বুধবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা হেরেছে ১-০ গোলে। এতে মালদ্বীপের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ অজেয় থাকার পর হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই জয়ের স্বাদ পেল মালদ্বীপ। এদিন প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেও কিছুটা অগোছালো ভাব ছিল। গোলকিপার মিতুল মারমা একাধিকবার ভুল করতে গিয়ে গোল প্রায় খেয়েই যাচ্ছিল দল। এছাড়া ব্যাক পাস কিংবা কিছু ভুল পাসের প্রবণতা ছিল।
মালদ্বীপ দেখে-শুনে খেলেছে। রক্ষণে জোর দিয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েছে। তারপরও ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল। ৪ মিনিটে ঈসা ফয়সালের ক্রসে শেখ মোরসালিন বক্সের ভেতরে থেকে হাওয়া ভাসা বলে মাথা চালিয়ে দেন। তবে তা ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে গিয়ে সমর্থকদের হতাশ করে। দুই মিনিট পর শেখ মোরসালিনের মাটি গড়ানো শট ৬ গজ দূরত্বে থেকে এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। ১৪ মিনিটে ব্যাকফ্লিক থেকে আর একটু হলেই মালদ্বীপ গোল পেতে পারতো। তবে কোনোমতে বল তালুবন্দি করে তা হতে দেননি মিতুল। একটু পর ফাহিমের ক্রসে রাকিব ঠিকমতো লক্ষ্যে হেড নিতে পারেননি।
ধারার বিপরীতে গোল হজম করে বাংলাদেশ। হামজা মোহাম্মদের দারুণ এক মাপা ফ্রি কিকে পোস্টের সামনে থেকে আলী ফাসির ফাঁকায় আলতো করে মাথা ছুঁইয়ে দেন। এসময় ডিফেন্ডার কিংবা গোলকিপার কেউই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। এক গোলে পিছিয়ে থেকে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ১৯ মিনিটে ফাহিমের ক্রসে রাকিব পা ছোঁয়ানোর আগেই গোলকিপার ব্লক করেন। এরপর দ্রুত বিপদমুক্ত করেন সামোহ আলী। ২৯ মিনিটে ঈসার ক্রসে ফাহিমের বাঁ পায়ের সাইড ভলি অন টার্গেটে থাকেনি। ৪৪ মিনিটে বল ক্রসবার কাঁপালেও গোল পাওয়া হয়নি। সোহেল রানার দূরপাল্লার শট সাইডবারে লেগে প্রতিহত হলে সমতায় ফেরা হয়নি। বিরতির পর মালদ্বীপ কিছু সময় রাজত্ব করে। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। বাংলাদেশও পারেনি সমতায় ফিরতে। শেষ দিকে মোরসালিন-রাকিব চেপে ধরলেও গোলের দেখা মেলেনি। হারের দুর্ভাগ্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাবরেরার দলকে। ফলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।