পেশাদার ক্যারিয়ারে পঞ্চাশের বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন অর্জুন টেন্ডুলকার। কিন্তু ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পাওয়া হচ্ছিল না তার। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সাচিন টেন্ডুলকারের ছেলের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে রঞ্জি ট্রফিতে পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়লেন বাঁহাতি এই পেসার। ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা রাঞ্জি ট্রফিতে গতকাল বুধবার আরুনাচাল প্রদেশের প্রথম ইনিংস বলা যায় একাই গুঁড়িয়ে দেন গোয়ার পেসার অর্জুন। আগুনে বোলিংয়ে ৯ ওভারে স্রেফ ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। তার তোপে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় আরুনাচাল।
এদিন শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আরুনাচাল শিবিরে দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানেন অর্জুন। পরে এক ওভারে ধরেন জোড়া শিকার; হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর আরো দুই উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন তিনি পাঁচ উইকেট। অর্জুনের ছোবলে ১৭.১ ওভারে ৩৬ রানে প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে হারায় আরুনাচল। সবগুলো উইকেটই নেন এই পেসার। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সাচিনের ছেলে অর্জুন বেছে নেন পেস বোলিং। সেই পথে এগিয়ে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। আইপিএলেও খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২১ ম্যাচ খেলে ২৬ উইকেট নিয়েছেন অর্জুন। ১০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে তার এই সংস্করণে। ২০২২ সালের নভেম্বরে লিস্ট ‘এ’ ও ডিসেম্বরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় অর্জুনের। লাল বলের ক্রিকেটে নিজের প্রথম ম্যাচেই চমক দেখান তিনি। মূল কাজ বোলিংয়ে নয় অবশ্য, অর্জুন আলো ছড়ান ব্যাট হাতে। এই সংস্করণে অভিষেক ম্যাচেই উপহার দেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। তার বাবা টেন্ডুলকারও প্রথম শ্রেণিতে নিজের প্রথম ম্যাচে পেয়েছিলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। রাজস্থানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে একমাত্র ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৩ উইকেট নেন অর্জুন।
প্রথম শ্রেণিতে এরপর আরো কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন অর্জুন। আরুনাচাল ম্যাচের আগে এই সংস্করণে ১৬ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ৩২টি, দুইবার পেয়েছেন ৪ উইকেটের স্বাদ। এবার আগের সেরা ৪৯ রানে ৪ উইকেট ছাপিয়ে গেলেন তিনি। ব্যাট হাতেও বেশ কার্যকর অর্জুন প্রথম শ্রেণিতে ওই এক সেঞ্চুরির পর করেছেন দুটি ফিফটি। ২৩.১৪ গড়ে ২৩ ইনিংসে তার রান ৫৩২। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৫ ম্যাচ খেলে ২১ উইকেট নিয়েছেন অর্জুন। একবারই পেয়েছেন ৪ উইকেটের স্বাদ, ৩০ রানে।