লাল বলের ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে তার ব্যাট থেকে এসেছে মনে রাখার মতো অনেক ইনিংস। তবুও জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট দলে ছিলেন ইমরুল কায়েস। সেই ম্যাচের পর আর কোনো ফরম্যাটেই দেখা যায়নি তাকে। এরপর থেকেই নির্বাচকদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু ছয় বছরেও খুলেনি জাতীয় দলের দুয়ার। তাই এবার আর অপেক্ষায় থাকতে চাইলেন না। গত বুধবার লাল বলের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক বিদায়। ফলে ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক লাল বলের ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারকে। গতকাল শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন ইমরুল। বিদায়ী ম্যাচে তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগে খুলনা ও ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ শুরুর আগে ইমরুলকে গার্ড অব অনার দিয়েছে দুই দলের ক্রিকেটাররাও। তার কিছুক্ষণ পরই তাকে ক্রেস্ট উপহার দেয় বিসিবি। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল ও সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালকেও দেখা গেছে এ সময়। বিদায়ী ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভালো করতে পারেননি ইমরুল। শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনটি বাউন্ডারি মেরে বিদায়টা রাঙানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে মোহাম্মদ এনামুল হকের বলে আশিকুর রহমান শিবলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। তার আগে ২৭ বলে করেছেন ১৬ রান। শেষটা রাঙানোর জন্য আরো একটি ইনিংস অবশ্য পাচ্ছেন ইমরুল। ৩৮ বছর বয়সী ইমরুলের টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল মিশ্র পারফরম্যান্সের। টেস্টে অভিষেক হয় ২০০৮ সালের নভেম্বরে। প্রায় ১৬ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩টি সেঞ্চুরিসহ ২৪.২৮ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৭৯৭ রান। সবশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ১৩৭ ম্যাচে ২৪৭ ইনিংসে ৭ হাজার ৯৪৬ রান আছে তার, গড় ৩২.১৭। ২০টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ২৭টি হাফ সেঞ্চুরি।