ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইসিসির জরুরি সভা মঙ্গলবার

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনিশ্চয়তা কাটবে?

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনিশ্চয়তা কাটবে?

সময় যত গড়াচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনিশ্চয়তা ততই বাড়ছে। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছেই। কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না আইসিসি। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি সভায় বসছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। সেখানেই নির্ধারণ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য। আগামী মঙ্গলবার সভাটি হতে যাচ্ছে এমন তথ্য জানিয়েছে ক্রিকইনফো। জরুরি ওই সভাতেই সিদ্ধান্ত হবে টুর্নামেন্টটির জন্য আবারো হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হবে কী না। সেক্ষেত্রে ম্যাচগুলো পাকিস্তান ও বিদেশি ভেন্যুতে ভাগ করে আয়োজিত হবে। বিদেশি সেই ভেন্যুর নাম পরে চূড়ান্ত করা হবে। অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে সভার কথা জানা গেলেও আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কিছু এখনো নিশ্চিত হয়নি। এটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কয়টি বোর্ডকে সভার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) এই ব্যাপারে কোনো তথ্য পায়নি। আইসিসির বোর্ডে সাধারণত ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশের প্রতিনিধি থাকে। সহযোগী দেশ থেকে থাকে তিনজন। তা ছাড়া একজন স্বাধীন পরিচালক, আইসিসি চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অংশ নিয়ে থাকেন। এমন কিছু হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। কারণ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এরই মধ্যে আইসিসিকে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান সফরের অনুমোদন দেয়নি ভারত সরকার। অথচ তিন বছর আগেই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের স্বত্ব পাকিস্তানকে দেয়া হয়েছে। তার পর থেকে দেশটি লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের লক্ষ্যে ছিল অবিচল! কিন্তু বর্তমান অনিশ্চয়তায় টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সূচি আইসিসি এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি। অতি সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে- এই ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক। নাকভি আবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বলেছেন প্রয়োজনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও আলোচনা করে সমস্যা দূর করতে রাজি তিনি। এখানে উল্লেখ্য, টানা দ্বিতীয় বছর পাকিস্তানকে টুর্নামেন্ট আয়োজনে হাইব্রিড মডেলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপটির আয়োজকও ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেই দেশে সফর করতে রাজি না হওয়ায় এই মডেলে টুর্নামেন্ট পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কায় আয়োজনে বাধ্য হয় তারা। অথচ একই বছর পাকিস্তান ঠিকই ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে সেখানে সফর করেছে। কিন্তু গত সপ্তাহে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দৃষ্টিহীনদের নিয়ে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভারত নাম প্রত্যাহার করেছে। এই টুর্নামেন্টের বেলাতেও দেশটির সরকার পাকিস্তান সফরের অনুমতি দেয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত