শাহাদতকে টপকে সাকিবকে ধাওয়া

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০২০ সালে হাসান মাহমুদের পথচলা শুরু হলেও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক চলতি বছর। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে মাত্র ৮ মাসেই একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। বল হাতে আলো ছড়িয়ে টেস্ট অভিষেকের বছরেই দারুণ একটি রেকর্ডের মালিক হলেন তরুণ এই পেসার। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তি গড়লেন তিনি। শাহাদাত হোসেন রাজীবকে হটিয়ে এই কীর্তি এখন তার দখলে। শুধু তাই নয়, বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানের রেকর্ডকেও তাড়া করছেন এই পেসার। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৮টি টেস্ট খেলেছেন হাসান। অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়েছেন তিনি। ২৫ বছর বয়সী পেসারের ৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে উইকেট এখন ২৬টি। এর আগে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন শাহাদাত। ১৬ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে গেলেন হাসান।

অবশ্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে হাসানের আগে আছেন কেবল দুইজন। একজন সাকিব আরেকজন তাইজুল ইসলাম। ২০১০ ও ২০১৪ সালে টেস্টে ২৭টি করে উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। হাসানের সামনে আরো তিনটি ইনিংস রয়েছে। সেখানে দুটি উইকেট নিতে পারলেই সাকিবকে ছাড়িয়ে যাবেন। তবে ২০১৮ সালে ৭ টেস্টে ৪৩ উইকেট নিয়ে এক বছরে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার কীর্তি বামহাতি স্পিনার তাইজুলের। হাসানের জন্য এই কীর্তিটা ভাঙা বেশ কঠিনই। তবে যেভাবে পারফরম্যান্স করছেন, তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে এমন কিছু হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিশ্ব রেকর্ডের সঙ্গে তুলনা করলে হাসানকে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ডটি ডেনিস লিলির। অস্ট্রেলিয়ান পেসার লিলি ১৯৮১ সালে ১৩টি টেস্ট খেলে শিকার করেছিলেন ৮৫টি উইকেট।