সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ভরসার এক নাম মুমিনুল হক। টেস্ট ক্রিকেটে তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি কখনোই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার অল্প দিনের মধ্যেই ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ ব্যাটসম্যানের তকমা পেয়ে যান তিনি। মুমিনুলও নিজের মান রাখেন। অভিষেকের পর ২০১৪ সালে কমপক্ষে ৭০০ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ব্যাটিং গড়ই ছিল স্যার ডন ব্র্যডম্যানের পরে। ডন ব্র্যাডম্যানের ছিল ৯৯.৯৪। মুমিনুলের ৭৫.৫০। এরপর নানা উত্থান-পতন হয়েছে তার ক্যারিয়ারেও। তবে তার টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একদমই পাল্টেনি। অন্য ফরম্যাট তো খেলেন-ই। তবে লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটের প্রতি আলাদা টান রয়েছে তার। সেই ভালোবাসারই পুরস্কার অ্যান্টিগায় পেলেন মুমিনুল। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা আলজারি জোসেফের ফুল লেংথ ডেলিভারি ড্রাইভ করে কভার-পয়েন্ট দিয়ে বাউন্দারি আদায় করে নিলেন মুমিনুল হক। তার সঙ্গে লাল বলের ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূরণ করলেন এই ব্যাটার। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। গত রোববার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে নেমে এদিন হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেয়ার পথে এই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূরণ করেন তিনি। তবে ফিফটি তুলে নেয়ার পরপরই বিদায় নিয়েছেন তিনি।
এদিন শাহাদাত হোসেন দিপু ও লিটন দাসের সঙ্গে বেশ আস্থার সঙ্গেই ব্যাট করছিলেন মুমিনুল। তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৬২ রানের জুটি। তাতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। তবে ফিফটির পর জ্যাইডেন সিলসের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে পড়েছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। মুমিনুলের এদিনের ৫০ রানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার মোট রান হলো ১০ হাজার ৫ রান।