কাবাডিতে অশনি সংকেত!

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

অ্যাডহক কমিটি গঠনের পর থেকেই অশনি সংকেত বেজে উঠেছে জাতীয় খেলা কাবাডিতে। ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ২৫ ক্লাবের মধ্যে জায়গা হয়েছে মাত্র দুই ক্লাবের কাউন্সিলরের। বাকিরা বাদ পড়েছেন। ফলে আগামীতে কাবাডির ম্যাটে খেলা গড়ানো নিয়েই সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরোয়া আসরে জাকজমক খেলা চললেও আন্তর্জাতিক আসরে জাতীয় খেলা কাবাডির দুর্দশা চলছে। এর মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঘোষিত অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। গত ১৪ নভেম্বর আটটি ক্রীড়া ফেডারেশনের সঙ্গে ঘোষণা করা হয় কাবাডির অ্যাডহক কমিটিও। সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে দেখা যায় ক্লাব রয়েছে এমন দুইজন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে। এরা হলেন প্রথম বিভাগের ক্লাব মৌলভী সুরজ্জামান স্মৃতি সংসদের মনির হোসেন (কোষাধ্যক্ষ) এবং প্রিমিয়ার কাবাডি লিগের দল ইনস্টিটিউট অব কাবাডির কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান শাহিনকে (সদস্য)।

অথচ বাকি ২৩টি ক্লাবের কোন প্রতিনিধিকেই রাখা হয়নি কমিটিতে। তা ছাড়া ব্যবসায়ী এসএম নেওয়াজ সোহাগের অধীনে খেলতে চাইছেন না তারা। প্রিমিয়ার বিভাগের বাকি সাত ক্লাব হলো- আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, শহীদ মোজাফফর স্মৃতি সংসদ, মানিকনগর কাবাডি ক্লাব (বর্তমানে অক্সফোর্ড কাবাডি ক্লাব), স্টার স্পোর্টস ক্লাব, মাতুয়াইল মিলন স্মৃতি সংসদ ও সাউথ বাংলা ক্লাব। এ ছাড়া প্রথম বিভাগে ১০ ও দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি লিগে রয়েছে আরো পাঁচটি ক্লাব। প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগের ক্লাব আইডিয়াল ক্রীড়া চক্রের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান সুমনের কথা, ‘এই কমিটির অধিনে খেলতে চাই না। লাখ লাখ টাকা খরচা করে ক্লাব চালাই, অথচ আমাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। আর একজন অখেলোয়াড়ের অধিনে আমি খেলতে চাই না।’

মহানগরী কাবাডি ক্লাব সমিতির সভাপতি ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর এসএমএ মান্নান বলেন, ‘সোহাগ একজন ব্যবসায়ী। সে কোনো খেলোয়াড় ছিল না। ব্যবসা করার উদ্দেশেই সে কাবাডিতে এসেছে। বছরে ৫৩ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলে দেয়নি। আর এই কমিটি পুরোটাই তার উপযোগী করা হয়েছে। কমিটি দেখে মনে হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী সংস্কারের কিছুই হয়নি। কারণ ঢাকার কোন প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের প্রতিনিধিকেই রাখা হয়নি অ্যাডহক কমিটিতে। তাই সোহাগের অধিনে আমরা খেলতে চাই না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসবো আমি। তাদের কথা শুনব। তারপর আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসব।’