গত কয়েক বছর ধরেই জাতীয় লিগে ভালো করে আসছিল সিলেট বিভাগ। অবশেষে তারা পেল কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা। বরিশালকে হারানোর পর সিলেটের কোচ রাজিন সালেহকে কাঁধে তুলে নেন এবাদত হোসেন। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যাম্পিয়ন বলতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক ঘণ্টা।
রংপুর-ঢাকা মেট্টোর ম্যাচটি শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে তাদের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান করে বরিশাল, কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪২ রানে। ১০৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সহজ জয় পেয়েছে সিলেট। শেষদিনে তারা খেলতে নামে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। শুরুতে অবশ্য কিছুটা ধাক্কাই খেয়েছিল তারা। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ মিলে দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন। ৫২ বলে ৪৪ রানে রান করে নাসুম আউট হয়ে গেলে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন অমিত।
৬৯ বলে ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে শিরোপা উল্লাসেও ভাসেন। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে সিলেট। সিলেটের একাডেমি মাঠে খুলনার কাছে ৫৮ রানে হেরেছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট হয় খুলনা, দ্বিতীয় ইনিংসে তারা করে ২১৯ রান। প্রথম ইনিংসে ২২০ রান করা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৫ রানে।