ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শত বছরে ইতিহাসে ক্ষণস্থায়ী ইনিংস

শত বছরে ইতিহাসে ক্ষণস্থায়ী ইনিংস

মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কোনো জবাবই পেলো না শ্রীলঙ্কা। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং আর নিজেদের নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ইনিংসে একশ বল খেলার আগেই গুটিয়ে গেলো তাদের ইনিংস। গতকাল বৃহস্পতিবার ডারবানের কিংসমিডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লজ্জাজনকভাবে মাত্র ৪২ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এটি টেস্ট ক্রিকেটে তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৯৯৪ সালে, ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রান করেছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেন একাই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন। ৬.৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে তিনি ভয়ঙ্কর স্পেল উপহার দেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জেরাল্ড কুয়েটজের ২ এবং কাগিসো রাবাদার ১ উইকেট। লঙ্কার ইনিংসটি যেন শুরুর আগেই শেষ। দলের দুই ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস (১৩) এবং লাহিরু কুমারা (১০) কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। বাকিরা কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একের পর এক ব্যাটার দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান, কেউই বলের সুইং ও বাউন্সের মোকাবিলা করতে পারেননি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা দলটির ইনিংসের স্থায়িত্ব বাড়ান। তার ৭০ রানের ইনিংসই ছিল প্রোটিয়াদের বড় অবদান। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে আসিথা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা ৩টি উইকেট নেন।

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ধসের পেছনে ছিল কয়েকটি কারণ। প্রথমতো, দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের সামনে তাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। ইয়ানসেনের নিখুঁত লাইন ও লেংথের সুইং বোলিংয়ের সঙ্গে তারা কোনো ভাবেই মানিয়ে নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, পিচের অতিরিক্ত বাউন্স শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করে। তাদের শর্ট বল মোকাবিলার দক্ষতার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় যোগ করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত