তিনি যেন বিশ্ব ফুটবলের বিস্ময়! তার অভিষেকই হয়েছিল রেকর্ড গড়ে। তারপর থেকে চলছেই। লামিনে ইয়ামালের মাঠে নামা মানেই যেন নতুন কোনো রেকর্ড। অথচ বয়স এখনো ১৮ পেরোয়নি তার। স্পেনের তরুণ এ ফুটবলার সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে অনেক রেকর্ড গড়েছেন। এবার সে তালিকায় যোগ হলো আরো এক রেকর্ড। সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার জিতেছেন ইয়ামাল। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে খেলা ২১ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে সেরা ফুটবলারকে পুরস্কারটি দেয় ইতালিয়ান সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত। ২০২৪ সালের সেরা হিসেবে গত বুধবার ইয়ামালের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারই প্রথম ১৭ বছর চার মাস বয়সের কোনো ফুটবলার এ পুরস্কার পেলেন।
ইয়ামাল মূলত নজর কাড়েন গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে। মৌসুম জুড়েই দ্যুতি ছড়ান তিনি। এরপর ডাক পান স্পেন জাতীয় দলে। সেই ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামার পর, জুন-জুলাইয়ের ওই আসরে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের স্বাদও পান ইয়ামাল। আসর জুড়ে চমৎকার পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়রাও নির্বাচিত হন তিনি। এ পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ইয়ামালের সঙ্গে আরো ছিলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো, পাউ কুবারসি, কোবি মাইনু, স্যাবিনিও, এনদ্রিক, আর্দা গুলেররা। আগের মৌসুমে এই পুরস্কারটি জিতেছিলেন রিয়ালের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম।
চলতি বছরই ইউরো জিতেছেন ইয়ামাল। ইউরোতে স্পেনের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ তারকা হিসেবে ইউরোর ফাইনালে খেলেন তিনি, সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলও করেন বার্সেলোনার হয়ে খেলা এই তরুণ। ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮৮ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হওয়ার পর তুত্তোস্পোর্তে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়ামাল। ‘এই পুরস্কার জিততে পারা দারুণ এক সম্মান। একটা স্বপ্ন, আমি খুব খুশি। তুত্তোস্পোর্ত ও বিচারকদের ধন্যবাদ। বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচদের আমি ভুলতে চাই না। আমি খুব খুশি এবং সামনে আরো সাফল্য পেতে মুখিয়ে আছি।’ ২০০৩ সালে পুরস্কারটি দেয়া শুরু করে তুত্তোস্পোর্ত। এর আগে ওয়েইন রুনি, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, আর্লিং হলান্ডের মতো তারকারা জিতেছেন ‘গোল্ডেন বয়।’ গতবার জেতেন রেয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহ্যাম। ভবিষ্যতের সেরাদের সেই তালিকায় এবার যোগ হলো ইয়ামালের নাম। সব মিলিয়ে বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন ইয়ামাল। মেসি ও ইয়ামাল ছাড়াও জেতেন গাভি ও পেদ্রি। আর কোনো ক্লাবের তিনবারের বেশি নেই এই অর্জন।