ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মৃত্যুর কোলে ক্রিকেটার

বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মৃত্যুর কোলে ক্রিকেটার

খেলার মাঠে মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই খবরে আসে খেলার সময় ক্রীড়াবিদের মৃত্যুর। আবারো ক্রিকেটের সবুজ মাঠে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া। ক্রিকেট বিশ্ব আবারো স্বাক্ষী হলো পীড়াদায়াক এক মৃত্যুর। খেলতে খেলতে মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ভারতীয় এক ক্রিকেটার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুণেতে। দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইমরান প্যাটেল নামের ওই ক্রিকেটারের। পুণের গারওয়ার স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিলেন ইমরান। লাকি বিল্ডার্স ও ইয়াং ইলেভেনের ম্যাচটি ছিল দেশটির ক্লাব পর্যায়ের খেলা। ওই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে বুকে ব্যথা অনুভব করেন ৩৫ বছর বয়সী ওই ক্রিকেটার। সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় মাঠেই লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

গত বৃহস্পতিবার লাকি বিল্ডার্সের হয়ে ওপেন করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে একটি বাউন্ডারি হাঁকান ইমরান। এরপরই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তবুও মাঠ ছাড়ছিলেন না। আম্পায়ারকে নিজের ব্যথার কথা জানিয়ে ব্যাট করছিলেন। এক পর্যায়ে ব্যথার বিস্তৃতি হয় কাঁধ পর্যন্ত। ব্যথা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, এবার আম্পায়ারের অনুমতি নেন মাঠ ছাড়তে। কিন্তু নিজের পায়ে সাজঘরেও ফেরা হয়নি ইমরানের। লুটিয়ে পড়েন মাঠেই। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়। খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিলো টেলিভিশনে। এ সময় মাঠে থাকা অন্য ক্রিকেটারেরা দৌড়ে যান ইমরানের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ইমরান যথেষ্ট ফিট ক্রিকেটার বলেই বিবেচিত হতেন। যে কারণে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া মেনে নিতে পারছেন না সতীর্থ ও পরিচিতরা। তাদের কাছে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। ইমারানের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় সতীর্থদের কাছে। অলরাউন্ডার ইমরান সব সময় ব্যস্ত থাকতেন খেলা নিয়ে। খেলা না থাকলেও নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করতেন। গণমাধ্যমকে ইমরানের সতীর্থ নাসির খান বলেন, ‘এর আগে কখনো অসুস্থ হয়নি ইমরান। যথেষ্ট সুস্থ ছিল ও। ইমরান এমন এক জন ক্রিকেটার যে খেলাটাকে প্রচণ্ড ভালবাসে। আমরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।’ ইমরানের স্ত্রী ও ৩টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সবচেয়ে ছোট মেয়ের বয়স চার বছর। ইমরান নিজে একটি ক্রিকেট দলের মালিক। তার প্রোমোটিংয়ের ব্যবসাও রয়েছে। ফলের রসের দোকান রয়েছে। কোনো রকম রোগ ছিল না ইমরানের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত