পেনাল্টি স্ট্রোক পেয়েও গোল করতে পারেননি বাংলাদেশের আমিরুল ইসলাম। মিস হওয়ার পর আফসোসে মাথা চাপড়াতে দেখা গেলো তাকে। কারণ পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোলটি করতে পারলে বাংলাদেশের সামনে শুধু যুব বিশ্বকাপে খেলাই নয়, জুনিয়র হকি এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও তৈরি হতো। দুর্ভাগ্য সেটি হলো না। রোববার ওমান হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জুনিয়ল এশিয়া কাপে গ্রুপের শেষ মাচে এগিয়ে থেকেও চীনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করায় বাংলাদেশকে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে পঞ্চমণ্ডথেকে সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হবে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচে লাল সবুজদের প্রতিপক্ষ অবশ্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাইল্যান্ড। সেক্ষেত্রে ম্যাচ জিততে পারলে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন সত্যি হবে বাংলাদেশের।
বি- গ্রুপে চার ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্র এবং এক হারে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। এক পয়েন্ট কম নিয়ে চীন চতুর্থ স্থানে। পাকিস্তান শীর্ষে, এরপরই রয়েছে মালয়েশিয়া। ওমানের মাস্কটে চীনের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। বিল্ডআপ করে খেলার পাশাপাশি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে একটি গোল করতে সমর্থ হয়েছে। বিপরীতে লং পাসে খেলে চীন একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও একটির বেশি করতে পারেনি। প্রথম কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার পেয়েও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে চীনের দুটি গোলের চেষ্টা রুখে দিয়েছেন গোলকিপার মোহাম্মদ নয়ন। তৃতীয় কোয়ার্টারে এসে হয়েছে দুই গোল। ৪১ মিনিটে সতীর্থের পাসে মোহাম্মদ আলী জোরালো রিভার্স হিটে পোস্ট কাঁপান (১-০)। মিনিট সাতেক পর ওয়াং ইবো পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে চীনকে সমতায় ফেরান (১-১)। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে আবারো গোল করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। আমিরুল ইসলাম গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ মিনিটে খেলা আরো জমে ওঠে। পেনাল্টি কর্নার থেকে চীন পোস্ট ভেদ করলেও আম্পায়াররা সেটি বাতিল করে দেন। এ নিয়ে সময়ক্ষেপণ হলেও সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। বাংলাদেশ শিবিরে তখন ড্রয়ের উল্লাস।