চলতি বছরের অক্টোবরে কাঠমান্ডুতে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অক্ষুণ্ণ রাখে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয়বার সাফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় সাবিনা-মনিকাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। গত শনিবার কক্সবাজারের ইনানিতে অবস্থিত বে ওয়াচে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় বিজয়ী দলের দলের গর্বিত সকল খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে তাদের অসামান্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।
বিশাল এই অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুইজন কৃতী খেলোয়াড় এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় (ঋতুপর্ণা চাকমা) ও শ্রেষ্ঠ গোলকিপারের (রুপনা চাকমা) মর্যাদা পান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল আগামীতে আরো এগিয়ে যেতে পারবে। ভবিষ্যতে শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় নয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে নারী ফুটবলাররা। সেই সাথে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ আসরে নারী ফুটবল দলের এই সাফল্য সার্বিকভাবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রেরণার সঞ্চার করবে।’
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা, অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।