এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে ভারতকে পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মার্চে হবে ম্যাচটি। এখনই নাকি ওই ম্যাচের উত্তাপ অনুভব করছেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্র সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হয়। সবশেষ ফিফা র্যাংকিং অনুযায়ী পট-৪ এ জায়গা হয় বাংলাদেশের। ড্রয়ে সি-গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর। গ্রুপের চার দলের মধ্যে ফিফা র?্যাংকিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ১৮৫তম। এই গ্রুপের শীর্ষ দল ভারত, ফিফা র্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান ১৩৭তম। মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও দুই দলের সবশেষ দেখার রেকর্ড আশা জাগানিয়া। ২০২১ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ১-১ গোলের ড্রয়ে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে কলকাতার সল্ট লেকে ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলে ড্র করেছিল লাল সবুজরা। আগামী মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব শুরু হওয়ার কথা। ২৪ দল ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে ম্যাচগুলো। ড্র দেখে সংবাদমাধ্যমকে কোচ কাবরেরা বলেন, ‘ড্রয়ে আমরা চ্যালেঞ্জিং গ্রুপে পড়েছি, কিন্তু এই গ্রুপ নিয়ে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিতও।’ বিশেষ করে ভারত ম্যাচ নিয়ে কোচের কথা, ‘অসাধারণ ম্যাচ হবে আমাদের জন্য। খুব রোমাঞ্চকর একটি গ্রুপ হয়েছে। চ্যালেঞ্জিংও। আমি মনে করি এটি একটি খুব আকর্ষণীয় গ্রুপ। আকর্ষণীয় এই অর্থে যে আমাদের তিনটি দল রয়েছে এবং আমাদের ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে। ম্যাচগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে। আমরা ঘরের মাঠে ম্যাচ গুলোতে জয় পেতে লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারি।’ কোচ যোগ করেন, ‘ভারতের বিপক্ষে আমাদের ভালো খেলার সুযোগ রয়েছে। আমার মনে হয় দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে অফিশিয়াল সকলেই তাদের বিপক্ষে খেলার জন্য দীর্ঘসময় ধরে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন।’ প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুরকে নিয়ে কাবরেরার মন্তব্য, ‘আমাদের গ্রুপে সিঙ্গাপুর রয়েছে। তারা র্যাংকিংয়ে সকলের চেয়ে এগিয়ে। বাকি দলগুলো তাদের চাইতে পিছিয়ে রয়েছে র্যাংকিংয়ের হিসেবে। সিঙ্গাপুর সম্ভবত আক্রমণে সবচেয়ে শক্তিশালী দল। তবে এখনও নিশ্চিতভাবে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করার শক্তি আমাদের রয়েছে।’