ঢাকা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিমন্যাস্টিক্সকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ কাওসারের বিরুদ্ধে

জিমন্যাস্টিক্সকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ কাওসারের বিরুদ্ধে

জাতীয় জিমন্যাস্টিক্সে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ ছিলেন। অথচ এখন জিমন্যাস্টিক্সকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মো. কাওসার। এমনটাই অভিযোগ সাবেক অন্য জিমন্যাস্টদের। অভিযোগে জানা যায়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক নতুন কমিটি দেয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জিমন্যাস্টিক্সকে নিয়ে নানা কটুক্তি করছেন মো. কাওসার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক কোচ মো. কাওসারের এমন প্রপাগান্ডার উত্তর ফেসবুকে দিয়েছেন আরেক সাবেক জাতীয় জিমন্যাস্ট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান বাবলু। তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘একজন ভালো জিমন্যাস্ট ছিলেন মোহাম্মদ কাওসার। বেশ ক’বার শ্রেষ্ঠ জিমন্যাস্টও হয়েছেন। লেখাপড়া শেষ না করে খুব তাড়াতাড়ি কোচ হওয়ার জন্য পাতিয়ালায় চলে যান এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ হন। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান দিপুকে জুতা দিয়ে আঘাত করার ধৃষ্টতাপূর্ণ কাজ করায় কাওসারের শাস্তি দাবী করে তার অপসারণ চায় জিমন্যাস্টিক্স পরিষদ। যা তৎকালীন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়। পরে জাতীয় ক্রড়িা পরিষদ থেকে কাওসারের চাকরি চলে যায়। ১৯৯৬ সালের পরবর্তী আওয়ামী সরকারের সময় নিজেকে একজন আওয়ামী ঘরানার লোক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ক্রীড়া পরষদে ফের চাকরি নেন। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে, ২০০৩ সালে উচ্চতর জিমন্যাস্টিক্স কোচেস কোচ প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যে ৮ দিনের জন্য পাঠানো হলে, আর দেশে ফেরেনি কাওসার। না আসায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চাকরি থেকে ফের অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এবং সারাক্ষণ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও নিজের বন্ধুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।’ শুধু তাই নয়, ক্রীড়াঙ্গনের কর্মকর্তাদের মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন কাওসার। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ক্রীড়া কর্তৃপক্ষকে মামলার সম্মুখীন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্রীড়ামোদীরা আশা করে ভবিষ্যতে বিতর্ক-বিহীন অবশিষ্ট ফেডারেশন সমূহের অ্যাডহক কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করবেন। অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ কাওসার বলেন, ‘২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম একটি কোর্স করেতে, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা হলে আর দেশে ফিরতে পারিনি। গত পাঁচ বছর জাতীয় জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা নেই। অথচ তারা ক্রীড়া পদক পুরস্কার পাচ্ছেন কর্মকর্তারা। এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত