দেশের ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। কিন্তু বিশ্বের বিখ্যাত এই অলরাউন্ডারের জাতীয় দলে ফেরাটা একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের সর্বশেষ সিরিজের দলেও ছিলেন না তিনি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত এই সিরিজ দিয়েই জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল টাইগার এই স্পিনারের। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) যে সাকিব খেলতে পারছেন না এটা একপ্রকার নিশ্চিত। চট্টগ্রামের হয়ে খেলার কথা থাকলেও চরম অনিশ্চয়তা রয়েছে। সাকিবের বিপিএল খেলতে না পারা নিয়ে ভিশন মন খারাপ খালেদ মাহমুদ সুজনের। গতকাল বৃৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের খারাপ লাগার কথা জানান ঢাকা ক্যাপিটালসের এই কোচ। মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের অনুশীলন শেষে সুজন বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশে খেলতে পারছে না এটা আমাদের সবার জন্য ব্যর্থতা। সেখানে যদি আমরা একটু বিচক্ষণ হতাম তাহলে ভালো হতো। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না, এটাতে ক্রিকেটাররাও সবাই হতাশ। ওর না থাকা সবারই খারাপ লেগেছে।’ সাকিবের রাজনীতির ছোট ক্যারিয়ারকে ক্রিকেটের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলায় অবাক হয়েছেন সুজন, ‘রাজনীতি সাকিব ক্যারিয়ারের শেষদিকে করেছে। কিন্তু তাকে সারা বিশ্ব চিনেছে একজন ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করে সাকিব কতটা অন্যায় করেছে সেটা বলতে পারবো না কিন্তু ওই সাত- আট মাসকে ওর এত বড় ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হলো সেটাই অবাক লাগে।’ সবশেষ শ্রীলঙ্কার টি-১০ লিগে খেলা সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে নাম দেননি। তাই বিপিএলের পাশাপাশি সময়ে মাঠে গড়ানো এ দুই আসরে খেলতে পারছেন না। পাকিস্তানের পিএসএলের ড্রাফটে নাম দিয়েছেন। দল পেলে সাকিবকে আবার মাঠে দেখা যাবে পিএসএলে। লিটন দাস ছন্দ হারিয়েছেন অনেক দিন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও রান পাননি। তবে লিটন যে শেষ হয়ে যায়নি সেটা স্মরণ করিয়ে দিলেন সুজন, ‘লিটনের যেখানে থাকার কথা ছিল হয়তো বা সেখানে নেই। ও রান না করলে মন খারাপ লাগে। ও রান করলে দেখতেও ভালো লাগে, দলের জন্য ভালো হয়। বাংলাদেশেও জেতে। খারাপ সময়টা মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফেলে এসেছে। সামনে ভালো সময়টাই আসবে ইনশাল্লাহ। এমন না যে লিটনের গোল্ডেন টাইম শেষ হয়ে গেছে। টেকনিক্যালি ওর সমস্যা নেই, মানসিক হতে পারে। ফর্ম না থাকলে আমরা কোচরা বলি বেসিক মেনে খেলতে। লিটনকেও তাই বলব।’ বিসিবির পরিচালক পদে থেকে পদত্যাগ করেছেন সুজন। তবে বোর্ডের খবর সেভাবে রাখেন না বলে জানালেন সুজন, ‘সুযোগ দেই নাই কিক আউট করার, বের হয়ে গেছি আরকি (বিসিবি থেকে)। দেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বোর্ডে কে কোন দায়িত্ব পাচ্ছে জানি না। তবে যেই পাবে আমার বিশ্বাস ভালোভাবে করবে। আমরা হয়তো বা ভালো করে যেতে পারিনি। সেখান থেকে তারা ভালো করার চেষ্টা করছে।’