বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ব্র্যান্ডিং আর দর্শকদের সঙ্গে দূরত্বের আদর্শ চিত্র হয়ত এটাই। বিশ্বের বাদবাকি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের জার্সি আর ফ্যানক্লাব নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি থাকলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু থেকেই পিছিয়ে এমন ব্র্যান্ডিং নিয়ে। অবস্থা এমনই শোচনীয়, ১১তম বিপিএল শুরুর একদিন আগেও ভক্তরা দেখতে পাননি নিজ নিজ দলের জার্সি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই জার্সি নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো নিজস্ব ওয়েবসাইট বা মার্চেন্ডাইজ বিক্রির কোনো ব্যবস্থা নেই। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন খেলাধুলার দোকান কিংবা মাঠের বাইরে থাকা হকাররাই জার্সি বেচাকেনার উৎস। অফিসিয়াল জার্সির স্বাদ থেকে বরাবরই বঞ্চিত বিপিএল। চলতি বছরেও সেই পুরাতন রীতি থেকে বেরিয়ে আসা হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোর। এখন পর্যন্ত বিপিএলে জার্সি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছে কেবল রংপুর রাইডার্সের। সেটাও গ্লোবাল সুপার লিগের সুবাদে। এছাড়া ফরচুন বরিশাল, দুর্বার রাজশাহী, খুলনা টাইগার্স এবং চিটাগাং কিংসের জার্সি নিয়ে ধারণা পাওয়া যায়নি মোটেই। ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সি সম্পর্কে খানিক ধারণা পাওয়া সম্ভব তাদের মিউজিক ভিডিওর ট্রেইলার থেকে। এর বাইরে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। একমাত্র সিলেট স্ট্রাইকার্স তাদের ম্যাচজার্সি সামনে এনেছে। তাদের অবশ্য ম্যাচ জার্সি পাওয়ার উপায়টাও বলা হয়েছে নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে। জার্সি নিয়ে বেশ পেশাদার আচরণই দেখিয়েছে বিপিএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া বাদবাকি দলগুলো নিজেদের প্র্যাকটিস জার্সি সামনে আনলেও ম্যাচ জার্সিটা রেখে দিয়েছে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবেই। ম্যাচের দিনই হয়ত প্রকাশ্যে আসবে সেসব জার্সি। ভক্তদের হাতে সেই জার্সি ঠিক কবে পৌঁছুবে তা নিয়ে আছে বড় প্রশ্ন।