কারণ যাই হোক। তাদের নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক আছে। আছে নানা মত। এক পক্ষের কথা, তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহিরুহ। দেশের ক্রিকেট উত্তরণের অন্যতম পথিকৃত। তাই জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকা থাকলেও মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে বিপিএল খেলার দাবি করতেই পারেন। আবার অন্য পক্ষের মত, নাহ! ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এতটুকু সমর্থন না জানানো এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে মাশরাফি এবং সাকিবও ধিকৃত। জনতার তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লিগার হিসেবে তারাও দেশের মাটিতে খেলার অধিকার হারিয়েছেন। সর্বোপরি দু’জনার নামেই আছে মামলা। খুব স্বাভাবিকভাবেই মাশরাফি আর সাকিবকে খেলতে নামলে তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় নেমে আসতে পারে ছাত্র জনতা। যেমন নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে। মোট কথা, সাকিব ও মাশরাফি বিপিএল খেললে একটা উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে। সচেতন মহল মনে করেন, এসব বিচার বিশ্লেষণ করেই হয়ত সাকিব-মাশরাফির বিপিএল খেলার ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দুই ক্রিকেটার মাশরাফি ও সাকিবের এবার আর খেলা হচ্ছে না। সাফল্যকে মানদ- ধরলে বিপিএলে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফি এবং সাকিবই সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির কৃতিত্ব আকাশছোঁয়া। সর্বাধিক ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস। আর চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার সাকিবও চারবারের বিপিএল সেরা পারফরমার। এমন দু’জন সেরা ও সফল তারকা ছাড়া বেশ কয়েকজন ভিনদেশি নামী-দামি তারকাও নেই এবার।