দীর্ঘ ১৪ বছর দেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। মাঝে দেড় বছর সেনাবাহিনীতে চলে গিয়েছিলেন। ফের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ফিরলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে মেয়েদের কোচ হিসাবে নয়, এবার নতুন ভূমিকায় ফিরলেন তিনি। এখন থেকে বাফুফের এলিট একাডেমির প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। নতুন এই দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন গোলাম রব্বানী। গতকাল বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে ২০২২ মেয়েদের সাফজয়ী এই কোচ বলেন, ‘নতুনভাবে আবার এখানে (বাফুফে) আসলাম। আগে যেভাবে কাজ করেছি, এখনও সেভাবেই কাজ করতে পারব। যুব ফুটবল উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছি।
আমি মনে করি, এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দিকেই আমার লক্ষ্য থাকবে।’ ২০২৩ সালের মে মাসে জাতীয় ও বয়সভিত্তিক মেয়েদের দায়িত্ব ছাড়ার সময় গোলাম রব্বানী বলেছিলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। এবারও এই প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। বাফুফের নতুন কমিটি অবশ্য সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে বলেই জানালেন গোলাম রব্বানী, ‘বাফুফে সভাপতি (তাবিথ আউয়াল) ও সহ-সভাপতি (নাসের শাহরিয়ার জাহেদি) আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আমরা ফুটবলারদের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করব।’ আগে এলিট একাডেমির দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। গত বছর অক্টোবরে সাবিনাদের কোচ হয়ে সাফে শিরোপা জিতিয়েছেন দেশকে। তাই এবারও তাকে মেয়েদের কোচ হিসাবে রেখে দিচ্ছে বাফুফে। তাই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে এলিট একাডেমির কার্যক্রম। অচিরেই ফুটবল গড়ার এই একাডেমির কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।