সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বরেই জাতীয় ক্রিকেট দলে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল। সে আলোচনার মধ্যেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন এ ব্যাটার। তবে বাকি টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে শান্তর ওপরই আস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের তিন সংস্করণে শান্তর কাঁধে নেতৃত্ব তুলে দিয়েচিল বিসিবি। তৎকালীন বোর্ড প্রধান নাজমুল হোসেন পাপন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ২০২৪ সালের জন্য তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শান্তকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই চলতি বছরের শুরুতে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। হয়েছেও তাই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টিতে আর অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী নন শান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজেও। এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি বলেন, শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না।
আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে। কুঁচকির চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারেননি শান্ত। তার অনুপস্থিতিতে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলনেতার ভূমিকা পালন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, বিসিবি চাইলে পূর্ণ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করতে তৈরি তিনি। তাই লিটনই যে নতুন অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন তা অনেকটাই অনুমিত। শান্তর এমন সিদ্ধান্তের পর আবারও একাধিক অধিনায়কের যুগে ফিরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান ছিলেন অধিনায়ক। তামিম ইকবাল ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। এরপর তামিমের নেতৃত্ব ছাড়ার সুবাদে সাকিবকে দেয়া হয় তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব। সাকিব নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শান্ত হন তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক।