অলিম্পিক গেমস, এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে তাতে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ সীমিত। তবে আন্তর্জাতিক গেমসগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসেই লাল সবুজের অধিকাংশ তারকা ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারেন। সেই গেমসেরও খবর নেই প্রায় অর্ধযুগ। তাই দেশের ক্রীড়াবিদদের মানোন্নয়নে জন্য একমাত্র পথ বাংলাদেশের অলিম্পিক খ্যাত ‘বাংলাদেশ গেমস’। এ বছরেই ক্রীড়াবিদদের কাঙ্ক্ষিত সেই গেমস আয়োজন করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। ২০১৯ সালে এসএ গেমস পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা কয়েক দফায় পিছিয়ে সবশেষ এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আনা হয়েছিল। তবে অবস্থাদৃষ্টে বুঝা যাচ্ছে গেমস আয়োজনে এখনো সক্ষম নয় দেশটি। অথচ গেমস আয়োজনের অধিকার ছাড়ছেও না তারা। তাই বিওএর মনযোগ এখন বাংলাদেশ গেমসের দিকে। ১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ গেমস ২০০২ সালের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ২০১৩ সাল থেকে পুনরায় আবার এই গেমস শুরু হয়েছে। সবশেষ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালে। এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে যুবদের জন্য আলাদা গেমসও আয়োজন করছে বিওএ। দুই বছর অন্তর অন্তর যুব ও বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করে আসছে। সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালে গেমসের নতুন আসর আয়োজন হওয়ার কথা। বাংলাদেশ গেমস গত বছরের গোড়ার দিকে শূন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত হন বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এরপর বিওএর প্রথম নির্বাহী সভাতেই বাংলাদেশ গেমসের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ বছর এই গেমসটি আয়োজনের কথা বলেন তিনি। তবে কবে নাগাদ গেমস আয়োজন করা সম্ভব হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। জানা গেছে, বিওএর পরবর্তী নির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশ গেমসের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ গেমসের গত পাঁচ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বাংলাদেশ আনসারের ক্রীড়াবিদরা। এবারো তাদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন খেলাধূলায় অংশ নিয়ে নিজেদের তৈরি করছেন। আনসারের এক সিনিয়র কোচ বলেন, ‘গত পাঁচ আসরে সাবেক সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির ক্রীড়াবিদদের উৎসাহের পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এবার তিনি নেই। তবে আনসার তাদের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেবে।’