সাব্বির রহমানের প্রতিভা নিয়ে কারো মনে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকার কথা নয়। দুর্দান্ত প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। মাঠে ও মাঠের বাইরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে এরই মধ্যে নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাডবয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই ড্যাশিং ব্যাটার। শৃঙ্খলতাজনিত কারণে ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। এমনকি জরিমানাও গুনেছেন বড় অঙ্কের। তাও কয়েক দফা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শুরু হতে ফের সেই একই কারণে এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের একাদশ থেকে তাকে বাদ দিয়েছে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে ঢাকা। তিন ম্যাচেই হেরে তলানিতে রয়েছে দলটি। হারের বৃত্তে থাকলেও সাব্বিরকে কোনো ম্যাচে রাখেন কোচ কোচ সুজন। কম্বিনেশনের কারণে বাদ দেয়া হলেও এরসঙ্গে রয়েছে রয়েছে চিরাচরিত সেই শৃঙ্খলতাজনিত ইস্যু। সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন খোদ কোচই। সিলেট পর্বে নামার আগে সুজন বলেন, ‘সাব্বিরকে আমরা খেলাতে পারিনি, কম্বিনেশনের কারণে।
এছাড়াও কিছু অন্য ইস্যু ছিল। অনেকেই হয়তো বলেছেন ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে... জানে না বলে হয়তো মন্তব্য করে দেয়াটা অনেক সহজ। এখানে আমার হাত ছিল না। অধিনায়কও ছিল দলে, তারও বলার থাকে অনেক কিছু। ট্রেনিংয়ের ব্যাপারগুলো থাকে, যেগুলো আমরা বলতে পারি না অনেক কিছু। হ্যাঁ, ট্রেনিংয়ে সাব্বির অনুপস্থিত ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের মাঝে যে অনুশীলনে আসেনি। টিম ডিসিপ্লিনের ব্যাপারও ছিল, এই কারণেই তাকে খেলানো হয়নি, বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচটি, যেটি ছিল ২ তারিখে। ওই ম্যাচটি খেলানো হয়নি ১ তারিখে অনুশীলনে না আসার জন্য। এটা পুরোপুরি ডিসিপ্লিনারি ইস্যু।’ তবে পরবর্তী ম্যাচে সাব্বিরকে দেখা যেতে পারে জানিয়ে বললেন, ‘সাব্বির ভালো ক্রিকেটার। আশা করি, কালকের ম্যাচ থেকে ওকে খেলাতে পারব এবং আশা করি সেরাটা খেলবে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সে, একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারর অভাব আছে আমাদের মিডল অর্ডারে। সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
সাব্বিরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান ঢাকা কোচ, ‘আমি ওকে বলেছি যে, না-ই আসতে পারে অনুশীলনে। অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে না। কিন্তু আমি চাই, আমার প্রত্যেকটি ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন ট্রেনিং করুক বা না করুক, ড্রেসিং রুমে যেন থাকে। সাব্বিরকে এটিই বুঝিয়েছি। ১ তারিখের অনুশীলনে সে আসবে না, এটা আমরা কেউ জানতাম না যে কেন সে আসেনি।’ তবে সাব্বির নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও জানান এই কোচ, ‘যদি বলে নিত, তাহলে সেটা ডিসিপ্লিনারি ইস্যু নয়। কিন্তু আমি বা ম্যানেজার ব কেউই জানত না। মাঠে গিয়ে যখন তাকে খুঁজি, জানি না যে সে কেন নেই, তাহলে তো সত্যিই শকিং ব্যাপার। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে বলেছে যে, ‘সুজন ভাই ভুল হয়েছে, আপনি রাগ করবেন না’। আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বাকি পুরো পথচলায় সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সে আমাকে সাপোর্ট করবে এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের মতো আচরণ করবে।’