আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ মানেই বাড়তি উত্তেজনা-উন্মাদনা। সেই সোনালী দিন এখন ধূসর হলেও মাঠের লড়াইয়ে এখনো মেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। গতকাল কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াইয়ের পর আবাহনী শেষ হাসি হেসেছে। ঢাকা আবাহনী এই মৌসুমে বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই খেলছে। বাংলাদেশের ফুটবলে বিদেশি ফুটবলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হলেও আবাহনী দেশি ফুটবলার দিয়েই বাজিমাত করছে। জাতীয় দলে এক সময় নিয়মিত ফরোয়ার্ড ইব্রাহিমের একমাত্র গোলে মোহামেডানকে পরাজিত করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ইব্রাহিম জয়সূচক গোলটি করেন। বক্সের মধ্যে তার উদ্দেশে বাড়ানো নিচু ক্রস ইব্রাহিম বেশ ঠান্ডা মাথায় প্লেসিংয়ে মোহামেডানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। ৭৪ মিনিটে মোহামেডান পিছিয়ে পড়ার পর খেলায় ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আবাহনী বক্সে বেশ কয়েকবার জোরালো আক্রমণ করলেও গোল করতে পারেনি। আবাহনী গোলরক্ষক মিতুল মারমা ও ডিফেন্ডাররা মোহামেডাকে গোলবঞ্চিত করেছে। মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ঢাকা আবাহনী চলমান মৌসুমে একমাত্র মোহামেডানের বিপক্ষেই হেরেছিল। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এই কুমিল্লাতেই মোহামেডান ১-০ গোলে আবাহনীকে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলদাতা ছিলেন অধিনায়ক দিয়াবাতে। আবাহনী মোহামেডানের সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ফেডারেশন কাপে। মোহামেডান প্রিমিয়ার লিগে টানা ৬ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে এককভাবে শীর্ষে।
ফেডারেশন কাপে অবশ্য মোহামেডান ধুকছে। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই হেরেছে। বি গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে শীর্ষ দুই দল পরের ধাপে যাবে। দুই হারে মোহামেডানের পরের পর্বে খেলা খানিকটা কঠিনই হয়ে পড়ছে। আবাহনী এবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হলেও কোচ মারুফের কৌশল এবং খেলোয়াড়দের একাত্মতায় মাঠে অন্যদের পরাজিত করছে প্রতিনিয়ত। ফেডারেশন কাপ ও লিগ মিলিয়ে আবাহনী ৮ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে মাত্র এক ম্যাচেই আবাহনী গোল হজম করেছে। বাকি সাত ম্যাচে আবাহনীর জালে কেউ বলই পাঠাতে পারেনি। গতকাল বি গ্রুপের অন্য ম্যাচে ফকিরেরপুল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। সাইফুলের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনী লীড নেয়। আট মিনিট পর আকবর ফকিরেরপুলের হয়ে সমতা আনেন। ৭৩ মিনিট টুডুর গোলে ফকিরেরপুল এগিয়ে যায়। সাত মিনিট পর সবুজের গোলে সমতা আনে চট্টগ্রাম আবাহনী। বি গ্রুপের আরেক দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন।