চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনিশ্চিত সাকিব

টেস্ট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেয়ার সময় গত সেপ্টেম্বরে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে তিনি বিদায় জানাতে চান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। তবে বিদায়ী টেস্ট খেলতে যেমন দেশে ফিরতে পারেননি তিনি, তেমনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার ইচ্ছাপূরণও এখন ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়। বিসিবি সভাপতি সম্প্রাত বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে পেতে আরেক দফায় চেষ্টা করবেন তিনি। পাশাপাশি এটিও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু বোর্ডের ব্যাপার নয়। সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার ব্যাপার এখানে আছে। রাজনৈতিক এই ব্যাপারের সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রিকেটীয় একটি অনিশ্চয়তাও। কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হওয়ায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডে এক দফায় বোলিং পরীক্ষা দেয়ার পর চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিয়ে তিনি উতরাতে পারেননি। এরপর চেন্নাইয়েই আরো একবার পরীক্ষা দিয়েছেন অ্যাকশনের। সেটির ফল এখনও আসেনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলের তামিমকে পেতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে সিলেটে বুধবার বৈঠক করেন তিন নির্বাচক। পরে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ভাবার জন্য সময় চেয়েছেন তামিম।

তামিমকে নিয়ে কথা বলার ফাঁকেই তিনি জানান, সাকিব আদৌ আবার বোলিং পরীক্ষা দিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নন তিনি। ‘সাকিবের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কি না- এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় আগামী রোববার। এর মধ্যে সাকিব বোলিং পরীক্ষায় উতরাতে পারলে একটি বাধা দূর হবে। তবে বড় বাধা যে রয়েই যাবে, সেটি ফুটে ওঠে প্রধান নির্বাচকের কথাতেই। ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচকম-লীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে, তিনি আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবল আছেন কি না।

সেটা এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি। যেহেতু আবার একটা শোনা যাচ্ছে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন (বোলিং পরীক্ষায়)। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি, এক-দুই দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’