পাঠ্যবইয়ে জামাল ভূঁইয়া-রাণী হামিদ

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাধারণত ক্রীড়াবিদরা দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বহির্বিশ্বে আখ্যায়িত হন। তারকা ক্রীড়াবিদরাই অনুজদের চোখে আইকন। তাই কিশোর কিশোরীদের খেলার প্রতি আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সময়ে পাঠ্য বইয়ে তারকা ক্রীড়াবিদদের জীবন-কাহিনী তুলে ধরা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সপ্তম শ্রেণির ইংরেজী পাঠ্যবইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ও দাবার কিংবদন্তী রাণী হামিদের নাম স্পোর্টস পারসোনালিটি অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জামাল ভূইয়ার বেড়ে উঠা ডেনমার্কে। ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে এসে নিজেকে প্রমাণ করে বাংলাদেশ ফুটবল দলে অপরিহার্য করেছেন। প্রায় অর্ধযুগ ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কও তিনি। প্রবাসী ফুটবলার বা ক্রীড়াবিদের বড় তারকা হয়ে উঠার ক্ষেত্রেও তিনি রোল মডেল। জামাল ভূইয়া পারিবারিক কাজে ইউরোপে রয়েছেন।

পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছেন জেনে বেশ উচ্ছ্বস প্রকাশ করলেন দূর দেশ থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, ‘আমি কখনো পাঠ্যবইয়ে স্থান পাব ভাবিনি। কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী আমাকে পড়বে ও দেখবে এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছি।’ অন্যদিকে রাণী হামিদ বাংলাদেশে দাবা ডিসিপ্লিনের প্রথম আন্তর্জাতিক রাণী মাস্টার। তার বয়স এখন ৮২। বয়সকে তুড়ি মেরে এখনো খেলে যাচ্ছেন দিব্যি। হাঙেরী অলিম্পিয়াডে তিনি টানা পাঁচ রাউন্ড জিতে আলোড়ন তুলেছিলেন। পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে বর্ষীয়ান এই দাবাড়ুর কথা, ‘একজন আমাকে দেখিয়েছে যে, আমার নাম ও ছবি পাঠ্যবইয়ে এসেছে।

এটা এক প্রকার বড় স্বীকৃতি। শিক্ষার্থীরা খেলোয়াড়দের ত্যাগ-অবদান সম্পর্কে জেনে বড় হবে এবং তারা ক্রীড়াবিদদের সম্মান-মর্যাদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা পাবে।’ বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যবইয়ে ক্রীড়াবিদদের স্থান পাওয়া অবশ্য নতুন নয়। এর আগে কিংবদন্তী ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন, সাকিব আল হাসানের নামও ছিল। নতুন পাঠ্য বইয়ে তাদের বদলে জামাল ভূইয়া, রাণী হামিদ ও নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে স্থান দেয়া হয়েছে।