দুঃসময় পুরোপুরি পেয়ে বসেছে সাকিব আল হাসানকে। একের পর এক হোঁচট খাচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে ফিরতে পারছেন না, খেলতে পারছেন জাতীয় দলের হয়েও। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অনুপোস্থিত। আইসিসি এ টাইগার স্পিনারের বোলিং নিষিদ্ধ করেছে। ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যাটার সাকিবকে বিবেচনা করেনি নির্বাচকরা। তিনি দল পাননি আইপিএলে। এবার পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও মুখ ফেরালেন সাকিব থেকে। গতকাল সোমবার পিএসএলের ড্রাফটে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে থাকা সাকিবকে নেয়নি কেউ। একই ক্যাটাগরিতে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানও দল পাননি। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার ডাক না পেলেও দল পেয়েছেন নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন। নাহিদকে দলে ভিড়িয়েছে পেশাওয়ার জালমি। তরুণ রানা গতির ঝড়ে মুগ্ধ করে চলেছেন সবাইকে। তার ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সময়ের সেরা ব্যাটাররা। তাকে দলে নিয়ে নিজেদের শক্তিই বাড়াল পেশাওয়ার। গত অগাস্টে পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে গতি দিয়ে নজর কাড়েন নাহিদ। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দেন। ওই সিরিজ স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ দল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাহিদ আলাদা করে নজর কাড়তে থাকেন। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও দেখা যায় তার ঝলক। চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে গতির ঝড় তুলছেন নাহিদ। পিএসএলে তার দল পাওয়াটা তাই অনুমিতই ছিলো। নাহিদ দল পাওয়ার কিছুক্ষণ পর একই ক্যাটাগরিতে থাকা লিটন কুমার দাসকে নিয়েছে করাচি কিংস। এরই মধ্যে আইপিএল, এলপিএল ও সিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা পাওয়া লিটন এবার প্রথম দল পেলেন পিএসএলে। পিএসএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্লাটিনাম বিভাগে আছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তবে প্রথম ডাকে কেউ তাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। ডায়মন্ড বিভাগে আছে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের নাম। তারাও প্রথম ডাকে দল পাননি।
এরপর গোল্ড ক্যাটাগরিতে নাহিদ, লিটনসহ ছিলেন বাংলাদেশের ১১ জন ক্রিকেটার। নাহিদ, লিটন ও রিশাদ ছাড়া অন্য কারও প্রতি আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রথমবারের মতো দেশের বাইরের লিগে খেলতে গেলে সতীর্থ হিসেবে বাবর আজম, সাইম আইয়ুব, কর্বিন বশ, টম কোহলার-ক্যাডমোরদের পাবেন নাহিদ। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা এবারের পিএসএল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া ওই সময় দেশের ক্রিকেটে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই। ফিটনেসের কোনো সমস্যা না দেখা দিলে তাই অনাপত্তিপত্র নিয়ে তেমন সমস্যায় পড়ার কথা নয় নাহিদ ও লিটনের। প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবশেষ সিলভার ক্যাটাগরিতেও আছে বাংলাদেশের ২১ জন ক্রিকেটার। প্রথম দফায় দল না পেলেও অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে শেষ দিকে পুনরাবৃত্তি করা হবে সবগুলো বিভাগ। তখন আবার সাকিব-মোস্তাফিজদের দল পাওয়ার সুযোগ দেখা দিতে পারে।