ঢাকা ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির অনুমোদন

বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির অনুমোদন

বগুড়া জেলা ক্রীড়াঙ্গনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম সুষ্ঠু, সক্রীয় ও সচল রাখার নিমিত্তে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত আগস্টের নির্দেশনা মোতাবেক সাত সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করে। এতে একজন আহ্বায়ক ও একজন সদস্য সচিব এবং বাকি পাঁচজনকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্মসচিব) আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে এ কমিটির অনুমোদন করা হয়। কমিটিতে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে আহ্বায়ক এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোছাদ্দেক হোসেনকে সদস্য সচিব এবং সদস্য ক্রীড়া অনুরাগী হাসান আলী আলাল, আম্পায়ার খালেদ মাহমুদ রুবেল, সাবেক খেলোয়াড় খাজা আবু হায়াত হিরু, ছাত্র প্রতিনিধি হাসান মোল্লা এবং ক্রীড়া সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মোঘল। স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ক্রীড়ানুরাগী ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তি বগুড়া আকবরিয়া লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল। তিনি ক্রীড়া উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তার নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা ও ক্রীড়ার প্রতি ভালোবাসা তাকে এই সম্মানজনক স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি জানান, বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণ প্রজন্মকে ক্রীড়ার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উৎসাহিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। এই কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের স্পন্দন আসবে। জেলা ক্রীড়ার ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে পারবে এই কমিটি। বগুড়া মানে খেলাধুলার উর্বর এক ভূমি। শুধু ক্রিকেট নয়, সব ইভেন্টেই বগুড়া থেকে একাধিক জাতীয় খেলোয়াড় থাকে। খেলাধুলা শুধু শারীরিক সক্ষমতা নয়, এটি মানসিক শক্তি, শৃঙ্খলা এবং আত্মবিশ্বাসের বিকাশ ঘটায়।

বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে আমাদের কাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করতে হবে। আমি চাই বগুড়ার ক্রীড়াক্ষেত্র এমন একটি পর্যায়ে উন্নীত হোক, যেখানে আমাদের খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গৌরব অর্জন করতে পারে। এ জন্য আধুনিক অবকাঠামো তৈরি, দক্ষ কোচ নিয়োগ এবং নিয়মিত প্রতিযোগিতা আয়োজন করা জরুরি। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ক্রীড়া কার্যক্রম বাড়ানোর ওপরও জোর দেন এবং বলেন, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হলে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা নিশ্চিত করে আমরা একসাথে কাজ করতে পারলে বগুড়াকে দেশের ক্রীড়ার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত