কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে পেলের কণ্ঠে একটা বার্তা নেইমারের কাছে পৌঁছেছিল সান্তোস। ওই বার্তায় নেইমারকে সান্তোসে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন ফুটবলের রাজা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরেছেন সান্তোসে। কান্নাভেজা চোখে শৈশবের ক্লাবে পা রাখার পর ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। ‘রাজপুত্রের ফেরা’- লেখা ব্যানার নিয়ে নেইমারকে স্বাগত জানিয়েছে সান্তোস সমর্থকরা। ঘরের মাঠের স্টেডিয়ামের নিচে বসে-দাঁড়িয়ে ‘নেইমার নেইমার’ ধ্বনিতে গলায় গলা মিলিয়েছেন ২০ হাজার দর্শক। হাজার হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে বিশেষ কনসার্টও আয়োজন করেছিল সান্তোস। কখনো কখনো অতি আনন্দে চোখ ভেসে যায় জলে। নেইমারের ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল। সান্তোসে আবার ফিরতে পেরে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ইএসপিএনের খবর, ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে আপাতত ছয় মাসের চুক্তি করেছেন নেইমার। সাও পাওলোর সন্ধ্যা অন্যরকম সৌন্দর্যে ভরে উঠেছিল আতশবাজি ও সান্তোস সমর্থকদের চিৎকারে। তিন ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন স্থানীয় শিল্পীরা। এরই একফাঁকে মাঠে দাঁড়িয়ে নেইমার বলেছেন, ‘আমি ভীষণ খুশি। আমরা এখানে দারুণ সময় কাটিয়েছে। সামনে আরো অপেক্ষা করছে।’ এর পর ভক্তরা চিৎকারে করে ওঠেন- তারা নেইমারের সেই পুরনো ড্রিবল দেখতে চান। উত্তরে নেইমার বলে ওঠেন, ‘আমার (ড্রিবলিং করার) সাহসের অভাব হবে না।’ কিছুক্ষণ পরই সান্তোসের নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করেন নেইমার। নেইমার ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ফুটবলে যোগ দিয়েছিলেন। প্যারিস সেন্ত জার্মেই ছেড়ে অর্থের ঝনঝনানিতে নাম লেখান আল হিলালে। কিন্তু চোট সমস্যায় বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। সৌদি ক্লাবটিতে তার চুক্তি আরো ছয় মাস বাকি ছিল। কিন্তু ফিটনেস সমস্যায় খেলার সুযোগ ছিল সামান্য। সেকারণেই আল হিলালের ?চুক্তি বাতিল করে সান্তোসে ফিরলেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি থেকেই ফুটবল বিশ্বে নিজের নাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সান্তোসের জার্সি প্রায় সব বড় শিরোপা হাতে তুলেছিলেন তিনি। ৩২ বছর বয়সে আবারো ফিরলেন শৈশবের ক্লাবে। এদিন সৌদি আরব থেকে নেইমারের ব্যক্তিগত জেট সকালে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের এক গ্রামীণ এলাকায় অবতরণ করে। তবে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে যোগ দেয়ার আগে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামের অনুরোধ জানান তিনি। এর পর হেলিকপ্টারে করে সান্তোস শহরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সান্তোস ক্লাবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, নেইমার তার পুরনো ১১ নম্বর জার্সি পরেননি, যেটা তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরেছিলেন।