বিদায়ী বার্তায় মাহমুদউল্লাহকে স্মরণ সতীর্থদের

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের সময় যে ঘনিয়ে আসছে, বোঝা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে তার নাম প্রত্যাহারের অনুরোধের পরই। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটবে বিদায় বললেন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি। বিপদের মুখে দলকে অসংখ্যবার উদ্ধার করেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সেভাবে আলোচনায় আসত না তার নাম, এজন্য তার আরেক নাম ‘সাইলেন্ট কিলার’। এটাকেই একটু বদলে জাতীয় দলের সতীর্থ তাওহিদ হৃদয় বিদায় বেলায় শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাকে বললেন, ‘পেইন-কিলার’। হৃদয় ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় টিভির সামনে বসে দেখা প্রত্েযকটা ব্রিলিয়ান্ট মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। সবাই আপনাকে সাইলেন্ট কিলার ডাকলেও, আমাদের বন্ধুমহলে আপনার নাম ছিল ‘পেইন-কিলার’। এমন অনেক ম্যাচ আছে যেগুলোর শেষ মুহূর্তের রিলিফ আপনার থেকে উপহার পেয়েছি।

আমার দোয়ায় থাকবেন আপনি, যেমনটি সবসময় ছিলেন অবসর জীবনের জন?্য শুভকামনা! ‘পেইন-কিলার’ শব্দটি মাহমুদউল্লাহর সমালোচনাতেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ কড়া সমালোচনা করেছিলেন অনেকে। এরপর পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় চূড়ান্ত পর্বে। তখন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা মাহমুদউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘দিনের পর দিন পেইন কিলার খেয়েই আমরা খেলি। হয়তো বিহাইন্ড দ্য সিন অনেকে এগুলো জানে না।’ মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে সেই ‘পেইন-কিলার’ই অন্য অর্থে ফিরিয়ে আনলেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে শুভকামনা জানিয়েছেন তার সাবেক, বর্তমান সতীর্থদের অনেকে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘থ্যাংক ইউ’। আর বিদায়ী বার্তায় তামিম লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই, বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ করার জন্য অভিনন্দন। আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ এবং মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা। ড্রেসিংরুমে আমাদের ভাগাভাগি করা স্মৃতিগুলো লালন করব। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আগামী দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা।’ তাসকিন আহমেদ ‘রেসপেক্ট’ ও ‘লিজেন্ড’ ট্যাগ যুক্ত করে ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি বিদায় জানালেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভাই, আপনার সাথে মাঠে সময় কাটানোটা ছিল এক পরম সম্মানের। আপনার শান্ত উপস্থিতি, ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্ব কখনোই ভোলা যাবে না। আপনি আমার মতো একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন।’’ টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত লিখেছেন, ‘বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদানের জন্য রিয়াদ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। ড্রেসিংরুমে আপনাকে অবশ্যই মিস করব এবং মাঠে ও মাঠের বাইরে আপনার কর্মকাণ্ড থেকে অনুপ্রেরণা নেব।’

সৌম্য সরকার লিখেছেন, ‘সৌম্য লিখেছেন, ‘প্যাশন, নিষ্ঠা এবং অবিস্মরণীয় মুহূর্তের এক যাত্রা। প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট এবং স্মৃতির জন্য কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ কিংবদন্তি।’ লিটন দাসের শ্রদ্ধাঞ্জলি, ‘মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভাই, আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। আপনার অধিনায়কত্বে খেলা এবং ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা আমার জন্য এবং আমার বিশ্বাস আমাদের অনেকের জন্যই সৌভাগ্যের ছিল। অবসর-পরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা।’

তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপনার অসাধারণ প্রতিটি মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। শৈশবে ক্রিকেটে দেখা আপনার অসাধারণ সব মুহূর্তই আমার বর্তমানে ক্রিকেটার পরিচয়ের পেছনের অন্যতম অনুপ্রেরণা। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকা, ছোটভাইয়ের মতো সবসময় আমাকে আগলে রাখা, আদর, যত্ন- সবকিছুর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনার পরবর্তী অধ্যায় হোক আরো দুর্দান্ত।’