ঢাকা রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

অভিজ্ঞতার কাছে তারুণ্যের হার

অভিজ্ঞতার কাছে তারুণ্যের হার

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (ডিপিএল) অন্যতম তারকাসমৃদ্ধ দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। নামেভারে দুই দলই বেশ শক্তিশালী। সাদা কালো দলের হয়ে খেলছেন তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞ তারকারা। অপরদিকে রূপগঞ্জের জার্সিতে খেলছেন তরুণ সৌম্য সরকার, জাকের আলি ও তানজিদ তামিমরা। গতকাল শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লিগের অন্যতম বড় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। জাতীয় দলের তারকাদের লড়াইয়ে একপাশে তারুণ্যনির্ভর রূপগঞ্জ অপরদিকে অভিজ্ঞ মোহামেডান। আশা করা হচ্ছিলো মৌসুমের প্রথম বড় ম্যাচ হয়তো জম্পেশ লড়াই হবে। কিন্তু লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দাঁড়াতেই পারল না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। তারুণ্যের বিপক্ষে জয় হয়েছে অভিজ্ঞতার। তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে পাওয়া মাঝারি পুঁজি নিয়েই রূপগঞ্জকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। বল হাতে মোহামেডানের নায়ক বিশ্রাম কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৯৪ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতে লিগ জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে থাকল মোহামেডান।

এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৩ রান করে মোহামেডান। টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫৯ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রূপগঞ্জ। ১৯ রানে দলটি প্রথম উইকেট হারায়। ৫১ রান না হতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। শুরুর পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে আফিফ হোসেন ধ্রুব সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন। এরপর জাকের আলী অনিক এগোতে থাকেন শেখ মেহেদী হাসানকে নিয়ে। দুজনে এগোতে থাকেন প্রতিরোধ গড়ে। জুটির ফিফটির পর অবশেষে ছন্দপতন ঘটে। ৪৬ বলে ২৫ রান করে জাকের ফিরলে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। অন্য প্রান্তে থাকা মেহেদী লড়াই শুরু করেন তানজীম হাসান সাকিবকে নিয়ে। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তাসকিন বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান মেহেদীকে। তানজীম থামেন ১১ রানে। মিরাজ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। তাসকিন নেন ২ উইকেট। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মোহামেডান। দারুণ শুরু হলেও আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল এবার ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। জুটি ভাঙে ৪৮ রানে। রনি তালুকদারের সঙ্গী হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রনি ৩৬ রানে ফেরায় দুজনের জুটি লম্বা হয়নি। নতুন ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় অঙ্কনের সঙ্গী হন। দুজনে এগোতে থাকেন সাবলীলভাবে। সচল রাখেন রানের চাকা। হঠাৎ অঙ্কনের ছন্দপতন ঘটে। ফিফটির কাছে গিয়ে ফেরেন অঙ্কন। ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। অঙ্কন ফিফটির দেখা না পেলেও হৃদয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। ৭৬ বলে ৩টি চার ও দুটি ছয়ে ইনিংসটি সাজান হৃদয়। এরপর আর কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ রান করেন। মুশফিকুর রহিম ১ রান করেন মাত্র। শেষে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।

রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটগুলো নেন তিনি। এছাড়া তানজীম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী হাসান, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌম্য সরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত