হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে কাবাডির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এরই অংশ হিসাবে গত রোববার অভিযুক্ত এসএম নেওয়াজ সোহাগ ও অভিযোগকারী ফেডারেশনের সাবেক সদস্য দেলওয়ার হোসেন তাদের লিখিত অভিযোগ জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদের কাছে। পরদিন বিল-ভাউচারে তদন্তের জন্য কাবাডি ফেডারেশনেও যান এই পরিচালক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেলওয়ার হোসেন। তার কথা, ‘গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সোহাগের দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য দিয়ে আমার লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছি।
সেখানে সাক্ষীর জন্য সাবেক কোষাধ্যক্ষ আরিফ মিহির ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মনির হোসেন ছাড়াও সাবেক সদস্য আমজাদ হোসেন মজনু ও এসএমএ মান্নানের নামও দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে তদন্ত শুরুর পর টনক নড়েছে সোহাগের। ২০২২ সালে তার মালিকানাধীন অ্যাডটাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভাসাভি কাবাডি টুর্নামেন্টের বকেয়া অর্থ নেয়ার জন্য পাওনাদারদের ফোন দিতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে তৎকালীন মেডিকেল কমিটির সদস্য সচিব ও বর্তমানে বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অবাক হলেও সত্যি যে, তিন বছর আগের পাওনা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ফোন দেয়া হয়েছে সোহাগের অ্যাডটাচ থেকে। অথচ এই পাওনার জন্য আমি কতদিন তাদের দ্বারস্ত হয়েছিলাম, তা বলাবাহুল্য।’ এদিকে গত বছর
সিনিয়র সার্ভিস কাবডির অর্থ এখনো বুঝে পাননি বলে অভিযোগ করেন সাবেক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন মজনু।