সংস্কারের নামে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে নতুন অ্যাডহক কমিটি দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু এই কমিটি নিয়েই সার্চ কমিটি ও ক্রীড়া পরিষদের দ্বন্দ্ব বেড়িয়ে এলো। যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। অবাক হলেও সত্যি, কমিটি ঘোষণা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন সার্চ কমিটির প্রধান জোবায়েদুর রহমান রানা। পরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আশ্বাসের ভিত্তিতে সেই সংবাদ সম্মেলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সার্চ কমিটি বলছে, ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা যেসব কর্মকর্তাদের নাম সুপারিশ করছেন, তা আমূল বদলে যাচ্ছে মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদে। এর নেপথ্যে কারা? তা জানেন না কেউই।ঘটনার সূত্রপাত, গতকাল আর্চারি, খো খো ও বেসবল-সফটবলের নতুন অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেখানে দেখা যায় আর্চারির সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে যুগের পর যুগ পদটি আকড়ে থাকা কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলকে। যদিও আট বছরের বেশি পদ আকড়ে থাকার কারণে এর আগে ঘোষিত ভলিবল থেকে আশিকুর রহমান মিকু, হ্যান্ডবল থেকে আসাদুজ্জামান কোহিনুর এবং কুস্তি থেকে বাদ দেয়া হয় তাবিউর রহমানকে। তাহলে কেন থাকবেন চপল? এ নিয়েই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। আগামীকাল দুপুর ১২টায় এই তিন ক্রীড়া ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ক্রীড়া পরিষদ। এরপরই শুরু দ্ব›েন্দ্বর। সূত্র মতে, আগের ২১টিসহ এই তিনটি কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে অনেককে তারা সুপারিশ করেননি, যাদেরকে প্রজ্ঞাপনের সময় দেখা গেছে। এ নিয়ে আগে থেকেই চরম অসন্তোষ বিরাজ করছিল সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে। তাই এবার বিস্ফোরন ঘটল আর্চাারির প্রজ্ঞাপনের পর। সূত্রটি আরও জানায়, সার্চ কমিটির সুপারিশের পর তা যায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। অবাক হলেও সত্যি যে, মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি গ্রুপ অনৈতিক পন্থায় এই সুপারিশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তদবিরের মাধ্যমে বাদ পড়াদের ফের জায়গা করে দিচ্ছে। অনেক সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক কর্মকর্তাদেরও পুনর্বাসন করা হয়েছে। যা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধ এবং আপত্তিকর। এ বিষয়ে সার্চ কমিটির প্রধান জোবায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সুপারিশকারী অনেককেই রাখা হচ্ছে না কমিটিতে। আবার আট বছরের বেশি ফেডারেশনে থাকা কর্মকর্তাদেরও রাখা হয়েছে। যার জন্য বিব্রত হচ্ছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। তাই আমরা সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ সব বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে ওয়াকিবহাল হয়ে সময় চেয়েছেন। দেখি এখন কি করেন তিনি। সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি।’