সুযোগটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে তিনি হতে পারতেন ভারত জয়ের নায়ক। কিন্তু দুর্বল শট কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে আক্ষেপে পুড়ছেন মোহাম্মদ হৃদয়। ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার উচ্চণ্ডভোল্টেজের লড়াইটি মঙ্গলবার গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হওয়ার পর আলোচনা কেন্দ্রে চলে আসে হারানো সুযোগগুলো। বাংলাদেশ যদি তাদের প্রাথমিক সুযোগগুলো কাজে লাগাতো, তাহলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। খেলার প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কাইথের একটি ভুলের সাহায্যে তিনটি সোনালী সুযোগ তৈরি হয়। তবুও মজিবুর রহমান জনি, শাহরিয়ার ইমন বা মোহাম্মদ হৃদয় কেউই তাদের লক্ষ্য ঠিক করতে পারেনি, যা দেশের দর্শকদের হতাশ করেছে।
জনি ও ইমন মিস করার পর, ১২ মিনিটের মাথায় হৃদয়ের সামনে সহজতম সুযোগ আসে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেওয়ার। কাইথের ক্লিয়ারেন্স ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপুর গায়ে লেগে ফিরে আসে, যা ফাঁকা বারের সামনে আন-মার্ক হৃদয়ের কাছে পৌঁছায়। তবে তার দুর্বল শটটি শুভাশিস বোস ক্লিয়ার করে বিপদ মুক্ত করেন। হৃদয় বলেন, ‘আমি ভাবিনি যে এই পরিস্থিতিতে আমি বল পাব। শান্ত থেকে নিজেকে সংযত রেখে আমার ফিনিশিং করা উচিত ছিল। আমি বলটি সঠিকভাবে শট করতে পারিনি, তাই সুযোগটি মিস করেছি।’
হৃদয় এমনিতে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার। গোল করার জন্য পরিচিত নন। তবে সুযোগ তো যে কারো সামনে পড়তে পারে। সেটা কাজে না লাগানোয় অনুতপ্ত তিনি, ‘আমরা শুরু থেকেই সুযোগ তৈরি করে ভালো শুরু করেছিলাম। আমি যদি সেই সময়ে গোলটি করতে পারতাম, তবে এটি দলের জন্য আরও ভালো হতে পারত, হয়তো তিনটি পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারতাম। তাই, আমি সেই সুযোগটি মিস করার জন্য অনুতপ্ত।’ তিন পয়েন্ট পেলে বাছাইপর্বে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ শক্তিশালী হয়ে যেত মনে করেন আবাহনীর এই তারকা, ‘আমরা যদি তিনটি পয়েন্ট নিতে পারতাম, তবে গ্রুপে আমাদের একটি সুবিধা থাকত কারণ অন্য ম্যাচটিও ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। তবে, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল ভারতের বিপক্ষে (এই বছরের শেষের দিকে) ম্যাচসহ ঘরের ম্যাচগুলোতে তিনটি পয়েন্ট নিশ্চিত করা।’ হামজার সঙ্গে মধ্যভাগে খেলেছেন হৃদয়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই তারকাকে নিয়ে তার উচ্ছ্বাস বাড়তি, ‘আমার মনে হয় তিনি (হামজা) যে স্তরের খেলোয়াড়, সে সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তিনি মাঠের ভেতরে সবসময় ইতিবাচক কথা বলতেন। তিনি আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিতও করেছেন। হামজার মতো একজন খেলোয়াড় সতীর্থ থাকাকালীন খেলোয়াড়দের মধ্যে এক অন্যরকম স্পিরিট কাজ করেছে।’ ‘তিনি সবসময় সবাইকে তাড়াহুড়ো না করে শান্ত থাকতে বলতেন, কোনো ভুলের জন্য কাউকে দোষ না দিতে বলতেন। তিনি সবাইকে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতেও বলেছিলেন, তাহলে খেলা আমাদের জন্য সহজ হবে।’