কাজী রাজীব উদ্দিন চপল দেশের ক্রীড়াঙ্গণে এক পরিচিত নাম। বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের জন্মলগ্ন থেকেই খেলাটির উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও। ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের অংশ হিসেবে ঈদের আগে চপলকে আর্চারির অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এরপর নানা মহল থেকে অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন তিনি। এমনকি নিজের উচ্ছ্বাস লুকাতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেই পোস্ট দিয়েছেন এই সংগঠক। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রজ্ঞাপনে পরিবর্তন। কাজী রাজীব উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক থেকে নেমে গেছেন সদস্য পদে! ঈদের আগে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতে রাজীব উদ্দিন এখন কী বলবেন বুঝতে পারছেন না। ঈদের আগে কাজী রাজীব উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে আর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরপর সার্চ কমিটির পদত্যাগের হুমকিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই পদে সংশোধন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক এই সংস্থা। এনএসসির দেয়া অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তানভীর আহমেদকে। রাজীব উদ্দীনকে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয়েছে। আগের ঘোষিত কমিটিতে এক নম্বর সদস্য পদে ছিলেন তানভীর আহমেদ, যিনি মূলত একজন আন্তর্জাতিক জাজ, সাবেক খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ী।
সার্চ কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী দুই মেয়াদে কেউ কোনও ক্রীড়া ফেডারেশনে থাকবেন না, এমন নিয়মে কাজী রাজীব উদ্দীনকে তারা বাদ দিয়েছিলেন। হঠাৎ কী এমন ঘটনা ঘটলো যে তাকে প্রজ্ঞাপনে ঘোষণা দিয়ে আবার সরিয়ে দিতে হয়েছে? তিনি বলেছেন, ‘আমি নিজেও জানি না এমন কেন হলো। আমি তো আর্চারির সেবক। এখন উনারা যা ভালো করেছেন তাই করেছেন। কে বা কারা বাইরে থেকে খেলছে, তা তো বলতো পারবো না। তবে আমি কাপুরুষ নই যে, ফেডারেশনেই আর থাকবো না। সামনে দুটি প্রকল্প আছে। সেটা আগে এখন শেষ করতে হবে।’