ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উঠে গেল বয়সসীমা

ফের সাফ সভাপতি হওয়ার পথ খুলল কাজী সালাউদ্দিনের

ফের সাফ সভাপতি হওয়ার পথ খুলল কাজী সালাউদ্দিনের

সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) নির্বাচনে এতদিন বয়সসীমা ছিল ৭০ বছরের নিচে। যা বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পুনরায় সভাপতি হতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সীমা তুলে দেয়া হল। গতকাল শুক্রবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সাফের বিশেষ সাধারণ সভা ছিল। সেই সভা ছিল মূলত গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে সাফের নির্বাচনকালীন সময় বয়স ৭০ বছরের নিচে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বয়সের এই সীমা তুলে দেয়া হয়েছে। সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আগেই ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছিল। আজকের সভায় সংশোধন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

১৯৫৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সালাউদ্দিন। ২০২৬ সালে সাফ নির্বাচনের সময় ৭২ বছর বয়সে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন। এই সংশোধনের ফলে সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সাফের আগে এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসিতেও বয়সের এই বাধা উঠানো হয়েছে।

২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এর পরের বছরই সাফের সভাপতি হয়েছেন। ২০০৯ থেকে টানা চারবার তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের পদে রয়েছেন। সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যে কোনো পদ সভাপতিসহ টানা তিনবার বা সব মিলিয়ে তিনবার অথবা ১২ বছরের অধিক সময়কাল অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এই সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালে। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এই আওতায় পড়েননি। ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে এই আইনের আলোকে সেটাই হবে তার শেষ মেয়াদ। সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনে কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপরও নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপর। কারণ সাফে নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের মনোনয়ন প্রয়োজন। বাফুফের মনোনয়ন না পেলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। আগামী বছর বাফুফে সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। যদিও ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সালাউদ্দিনের সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেই ধারণা ফুটবল সংশ্লিষ্টদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে আঞ্চলিক সংস্থার ভোট নেই। সেখানে শুধু দেশের ফেডারেশনগুলো ভোট দিতে পারে।

ফেডারেশনের পদে নেই এমন কাউকে সাফের শীর্ষ পদে রাখার বিষয়টিও এশিয়ার ফুটবলের প্রভাবশালীরা বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেন। এদিন সাফের বিশেষ সভায় বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এএফসির সভাপতি শেখ সালমান। তার বক্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলে স্কুল ফুটবলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সাফ অঞ্চলের বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতি ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে সায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সভায় বাফুফের প্রতিনিধি জাকির হোসেন চৌধুরী।

চলতি বছরের জুনের শেষ সপ্তাহে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের ভেন্যু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি ফেডারেশন। শ্রীলঙ্কা আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাফের মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। কলম্বোর ভেন্যু পরিদর্শন করছেন তারা। তাই শুক্রবার কংগ্রেসের পর নির্বাহী সভায় সাফের ভেন্যু নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত