ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্লাব খুঁজছেন পুলিশের আর্চাররা!

ক্লাব খুঁজছেন পুলিশের আর্চাররা!

২০১৯ সালে গঠন করা হয় পুলিশ আর্চারি ক্লাব। কিন্তু পাঁচ বছরের মাথায় বন্ধ করে দেয়া হল এই ক্লাবটি। ২৫ জন আর্চারের সঙ্গে তাদের পরিবারেও অন্ধকার নেমে এসেছে। তাই আর্থিক সংকট কাটাতে ক্লাব চালু করার জন্য যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দ্বারস্ত হচ্ছেন এই ক্লাবের আর্চাররা। পুলিশ আর্চারির অধিনায়ক আবুল কাশেম মামুন বলেন, ‘পুলিশ যতগুলো ডিসিপ্লিনে খেলে, তার মধ্যে সেরা আর্চারি। আমরা অনেক পদক এনে দিয়েছি, যা এই সময়ের মধ্যে অকল্পনীয়। তারপরও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে পুলিশের খেলা ডিসিপ্লিন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আর্চারিকে। যা খুবই দুঃখজনক। আমরা শিগগিরই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দ্বারস্ত হব।’ ক্লাব বিলুপ্ত করায় যে ২৫ আরচার বেকার হয়ে গেলেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় ছিলেন। এতদিন তারা আশায় ছিলেন পুলিশে স্থায়ী চাকরি হবে বলে। এখন শুনলেন ক্লাবই নেই। ফলে তাদের তির-ধুনক হাতে খেলায়ই অনিশ্চিত হয়ে গেল।

গত বছর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠন হয়। তারপর থেকেই পুলিশের আর্চারদের ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন পুলিশের আর্চারি খেলোয়াড় ও কোচরা। ভাতা বন্ধ হওয়ার পর থেকেই হতাশার মধ্যে দিন কাটছিল আর্চারদের। পুলিশ আর্চারি খেলায় থাকছে না সেটা নিশ্চিত হয়, যখন ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ক্রীড়া ক্লাবগুলোর কমিটি ঘোষণা করে। এই অর্থ বছরে পুলিশ ২৫টি ডিসিপ্লিনের ক্লাব ঘোষণা করেছে। সেখানে আছে ফুটভলির মতো অখ্যাত সব খেলা। অথচ ভেঙে দেয়া হয়েছে অলিম্পিকের ডিসিপ্লিন আর্চারির ক্লাব। জানা গেছে, ভেঙে দেয়ার তালিকায় রয়েছে দাবা ও জিমন্যাস্টিকসহ আরো কয়েকটি ডিসিপ্লিনও। ২৪টি ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের জন্য ১৩টি ও একটি কালচারাল ক্লাব ঘোষণা করে প্রত্যেকটির সভাপতি ও সম্পাদক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মামুন বলেন, ‘২০১৯ সালে এই ক্লাব গঠনের পর থেকে আমি ছিলাম। আমাদের বছরব্যাপী ক্যাম্প হতো নড়াইল পুলিশ লাইনে। ছেলে ও মেয়ে ২৫ জন আরচার ছিলেন পুলিশ ক্লাবের ক্যাম্পে। আমরা দুইবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বাংলাদেশ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গত বছর এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত সপ্তম কার্তিনি আন্তর্জাতিক আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা ৭ স্বর্ণ, ৪ রুপা ও ৩ ব্রোঞ্জ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আরচারি ক্লাব গঠনের পর আমরা যত পদক এনে দিয়েছি, পুলিশের খেলাধুলার ইতিহাসেও সব মিলিয়ে এত পদক আসেনি। অথচ কি কারণে সফল সেই ক্লাবটিকেই বিলুপ্ত করা হলো আমরা জানি না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত