ঢাকা শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার অভিষেকে আশাবাদী বাফুফে

জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার অভিষেকে আশাবাদী বাফুফে

গত মাসে শিলংয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।

সে ম্যাচে লাল সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর। তবে দেশের মাঠে এখনও নামা হয়নি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকার। আগামী ১০ জুন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়ারা। সে ম্যাচে হামজার খেলা সরাসরি মাঠে বসে দেখতে পারবেন স্বাগতিক দর্শকরা। কিন্তু ভেন্যু এখনও নির্ধারণ হয়নি। কারণ, দেশের এক নাম্বার ভেন্যু এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত না। তবে বাফুফে কর্মকর্তারা রাজধানীর জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হামজার অভিষেক ম্যাচ আয়োজনে আশাবাদী।

গতকাল বুধবার জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে এ আশার কথা জানান বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। এর আগে স্টেডিয়ামে হামজা চৌধুরীর হোম অভিষেক না হওয়ার কারণ দেখেন না যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উপদেষ্টার ওই মন্তব্যের পর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল স্টেডিয়াম পরিদর্শনের জন্য গতকাল প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন। সেই দলের নেতৃত্বে যথারীতি বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। বাফুফে এরই মধ্যে মাঠে ঘাসের কাজ শুরু করেছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা মাঠ বুঝে নেয়নি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে মাঠ ও স্টেডিয়াম বুঝে নেয়ার পর দায়িত্ব ফেডারেশনের। ফেডারেশন বিগত সময়ে মাঠের পরিচর্যা ঠিকমতো করেনি। ফলে এক ধরনের অবহেলার শঙ্কা থেকেই যায়। এ নিয়ে বাফুফে সহ-সভাপতির মন্তব্য, ‘আমাদের সভাপতি গ্রাউন্ডস কমিটি করেছেন, যেটি আজ-কালকের মধ্যে প্রকাশ হবে।

যারা মাঠ সম্পর্কে জানে, তারাই আছেন কমিটিতে। আমরা বুঝে নেয়ার পর দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর পড়ে। এই মাঠের জন্য তিনজনের বিশেষ কমিটি হচ্ছে।’

গ্রাউন্ডস কমিটি হতেই পাঁচ মাসের বেশি সময় লাগছে। সেখানে আবার এক ভেন্যুর জন্য বিশেষ কমিটি কতদিন লাগে সেটাই দেখার বিষয়। কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবন সংলগ্ন আর্টিফিশিয়াল টার্ফ স্থাপন হচ্ছে, এই কাজের তদারকির জন্য নেই সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটি। যা মূলত গ্রাউন্ডসের ওপরই বর্তায়।

বাফুফে কর্মকর্তা ও স্টাফদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। দুই পক্ষ মাঠ ও স্টেডিয়ামের বিভিন্ন দিক ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ, ড্রেসিংরুম, গ্যালারি ও অন্যান্য দিক প্রদক্ষিণ করে নন-টেকনিক্যাল হয়েও বাফুফের পক্ষে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম মিডিয়ার সামনে আসেন। তিনি বলেন, ‘১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি এই ভেন্যুতে আয়োজনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা করছে। ১০ জুনের মধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে এখানে ম্যাচ আয়োজনের জন্য আমাদের সভাপতিও আন্তরিক। ড্রেসিংরুম যথেষ্ট ভালো লেগেছে, আন্তর্জাতিক মানের, যদিও আমার চেয়ে টেকনিক্যাল ব্যক্তি সাবেক ফুটবলাররা এখানে আছেন, তারা ভালো বলতে পারবেন।’

জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চলতি মাসের মধ্যে এটা সম্পন্নের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে ম্যাচ কমিশনার ও রেফারিজ রুম আলাদা প্রয়োজন। যা এখনও হয়নি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে নিরাপত্তা ও রেগুলেশন্সের নির্দেশনাও রয়েছে। এগুলো বাফুফে নিজ উদ্যোগেই করবে বলে জানালেন এই সহ-সভাপতি, ‘ম্যাচ কমিশনারের রুমের জায়গাটি এনএসসি আমাদের দেখিয়েছে। আমরা এটি নিজ উদ্যোগে করব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই। ফুটবলে স্পেসিফিক কিছু বিষয় রয়েছে যা বাফুফের বিশেষজ্ঞ রয়েছে তাদের মাধ্যমে করা হবে।’

স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রেসবক্স। সেই প্রেসবক্সে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও চেয়ার-টেবিল স্থাপন নিয়ে সাংবাদিকদের ভিন্নমত রয়েছে। বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়েছেন। টিম বেঞ্চসহ আরও টুকটাক নানা বিষয়ে অসঙ্গতির তালিকা হয়েছে। যা পরবর্তীতে বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দুই পক্ষ দফায় দফায় পরিদর্শনে আরও সংশোধন করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত