চলতি মাসের শেষ দশকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে স্বাগতিকদের বড় দুশ্চিন্তা ছিল চিন্তা ছিলো মুশফিকুর রহিমের অফফর্ম নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজে ফর্ম অব্যাহত ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রকেট লিগেও (ডিপিএল)। তবে ভক্ত সমর্থকদের চিন্তা দুর করলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। গতকাল বুধবার অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে দশম রাউন্ডে এসে জ্বলে উঠলেন তিনি। অনেকদিন পর মুশফিকের ব্যাট হেসেছে। তার ৭৫ রান এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬৪ রানে চড়ে মোহামেডান ২৮৭ রান করে। জবাবে খেলতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে ২১৩ রানে অলআউট হয়। ৭৪ রানে ম্যাচ জেতে মোহামেডান। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের দেয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। এক অমিত হাসান ছাড়া দলের কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে অমিত দারুণ ইনিংস খেলে পান সেঞ্চুরিও। নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১২৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় অমিত নিজের ইনিংসটি সাজান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। মোহামেডানের হয়ে ২২ রানে মিরাজ তিনটি এবং ৩৪ রানে ইবাদত আরও তিনটি উইকেট শিকার করেন। দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৭ রানের বড় স্কোর গড়ে মোহামেডান। মুশফিক খেলেছেন ৫৭ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ইনিংসটাই মোহামেডানের সর্বোচ্চ। এছাড়া তিনে নেমে মহিদুল ইসলাম অঙ্কান ৮৩ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬, অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ রান করেছেন। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন আরিফ আহমেদ।