নেপালের বিপক্ষে কাবাডি সিরিজে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় নেপাল। এরপর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে টিকে থাকে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের সামনে। ললিতপুরের সাতদোবাতোয় তায়কোয়ান্দো হলে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ২১-১৭ পয়েন্টে বাংলাদেশকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল স্বাগতিক নেপাল। সময় শেষ হওয়ার আগেই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। বাংলাদেশ দল এ নিয়ে আপত্তি জানালে আবার খেলা শুরু হয়। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নেপাল এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। আজ অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ।
বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই করেছিল। প্রথমেই ৩-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় শ্রাবণী, বৃষ্টিরা। নেপালও গুছিয়ে উঠে ম্যাচে এগিয়ে যেতে থাকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। নেপালের ১০ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের ছিল ৯ পয়েন্ট। দ্বিতীয়ার্ধে সমানতালে এগিয়ে যায় খেলা। একটা সময় দুই দলের পয়েন্ট ছিল সমান ১৪। এরপর রেফারির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপত্তি জানাতে থাকে বাংলাদেশ দল। শেষ পর্যন্ত নেপাল ম্যাচ জিতে ২১-১৭ পয়েন্টে।
ম্যাচে শেষে বাংলাদেশের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা শুরু থেকেই ভালো খেলছিল। কিন্তু ম্যাচে যা দেখলাম, আমাদের মেয়েরা টাচ করছে সাথে বোনাস পাচ্ছে। কিন্তু রেফারি বোনাস দিচ্ছে না। বাজে রেফারিংয়ের কারণে আমরা আজ ম্যাচটা হারলাম।’
খেলা শেষের আগেই রেফারি বাজিয়েছিলেন ম্যাচ শেষের বাঁশি। বাংলাদেশের আপত্তিতে খেলা শুরু হয় আবারও। মালেকা হতাশা জানিয়েছেন রেফারির এমন বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েও, ‘‘খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট বাকি থাকতেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেয়। বার বার রেফারি ভুল করেছে। আমাদের অনেকগুলো টেকনিক্যাল পয়েন্ট দেয়নি। স্বাগতিক হওয়ার কারণে রেফারি প্রথম থেকেই ওদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছিল। আমাদের রিভিউগুলা আনসাকসেসফুল দেখাচ্ছে আর নেপালের সাকসেস দেখাচ্ছে। পয়েন্ট না দেয়ার কারণে আমাদের মেয়েরা চাপে ছিল। আর এই চাপ দলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। চার থেকে পাঁচটা বোনাস পয়েন্ট আমাদের দেওয়া হয়নি। দর্শকরাও মাঠ থেকে বলছিল বাংলাদেশ পয়েন্ট পায়। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না।’