প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
সাধারণত করোনার টিকা নেয়ার ৬ মাস পর থেকে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা) পরিমাণ কমতে থাকে। তাই বুস্টার ডোজ টিকা নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অনেকেই টিকার চতুর্থ ডোজ নিচ্ছেন। তবে টিকা নেয়ার সময় সাধারণ ৫টি প্রশ্নের মুখোমুখি হন অনেকে, চলুন উত্তর জেনে নিই।
টিকা নেয়ার নির্ধারিত সময়ে যদি জ্বর, সর্দি-কাশি থাকে, তাহলে কী করব?
সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশিতে টিকা নিলে টিকার কার্যকারিতা কমে যায় বা বিরূপ প্রভাব পরে, এ রকম কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা থাকলে কোভিড টিকা নিতে কোনো বাধা নেই।
মাঝারি থেকে খুব বেশি জ্বর ও মারাত্মক অসুস্থতায় কোভিড টিকা নেব কি না?
মাঝারি থেকে খুব বেশি জ্বর ও মারাত্মক অসুস্থতায় কোভিড টিকা নেয়া যাবে না। জ্বর ভালো হওয়া এবং অসুস্থতা কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা নিতে হবে।
কোভিডে আক্রান্ত রোগী কখন টিকা নেবেন?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার ২৮ দিন পর টিকা নিতে পারবেন।
কোনো ব্যক্তির অ্যালার্জি থাকলে কী টিকা নিতে পারবেন?
কারও উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোভিড টিকা নেয়া দরকার। তবে যদি কারও সাধারণ কাশি, ত্বকের অ্যালার্জির মতো ছোটখাটো অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তবে নির্দ্বিধায় টিকা নিতে পারবেন। অ্যালার্জির জন্য আগে থেকেই ওষুধ খেলে তা বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকি টিকা নেয়ার পরও নিয়মিত ওষুধ সেবন করা উচিত।
টিকা নেয়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে কী করণীয়?
কোভিডের টিকা যথাসময়ে সব ডোজ নেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কার্যকর থাকে। কিন্তু কোনো কারণে টিকা নিতে না পারলে পরবর্তী সময়ে টিকা নিতে সমস্যা নেই। এমনকি সময়ের এক মাস পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজের টিকা নেয়া যাবে। আবার প্রথম ডোজ থেকে টিকা নেয়া শুরু করতে হবে না।
ডা. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম
জুনিয়র কনসালট্যান্ট
(রেসপিরেটরি মেডিসিন)
স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা
