১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল শিশু ক্যান্সার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বেটার সারভাইভ্যাল ইজ অ্যাচিভেবল’ যার অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে- ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর ভালোভাবে বেঁচে থাকাটাও অর্জনযোগ্য। শিশুদের অনেক ক্যান্সারই নিরাময়যোগ্য। সময় মতো চিকিৎসা করা হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেশ ভালো।
শিশুদের যেসব ক্যান্সার হয়, তার মধ্যে রক্তের ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, ব্রেন টিউমার, নিউরো ব্লাসটোমা, উইলমস টিউমার অন্যতম। নানা কারণেই হতে পারে শিশুদের ক্যান্সার, তার মধ্যে একটি হলো জেনেটিক মিউটেশন। যেমন রেটিনো ব্লাসটোমা এমন একটি চোখের ক্যান্সার, যা শিশুর জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হয়ে থাকে। এই জেনেটিক মিউটেশন শিশু তার বাবা অথবা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে থাকে। অন্যদিকে কিডনির ক্যান্সার উইলমস টিউমারের জেনেটিক মিউটেশন গর্ভাবস্থাতেই শুরু হয়। অনেক সময় নানা ধরনের জীবাণু যেমন এপস্টিন-বার ভাইরাস সংক্রমণ থেকে লিম্ফোমা হতে পারে। অন্যদিকে নানা ধরনের রেডিয়েশন বা বিকিরণের কারণেও ক্যান্সার হতে পারে।
লক্ষণ
১. শিশুর ঘন ঘন সর্দি, কাশি, জ্বর বা মূত্রনালির সংক্রমণ হলে।
২. শরীরের যে কোনো স্থানে কোনো ধরনের মাংসপি- বেড়ে গেলে।
৩. খুব দ্রুত শিশুর ওজন কমে গেলে।
৪. শিশুর রক্তশূন্যতা, শ্বাসকষ্ট, রক্তপাত, চামড়ার নিচে লাল দাগ।
ক্যান্সারের নানা ধরনের চিকিৎসা বর্তমানে আমাদের দেশেই সহজলভ্য। চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু এবং তার পরিবারের মনোজগতের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। তারা এ সময় খুবই বিপর্যস্ত থাকেন। তাঁদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখার জন্য পাশে থাকতে হবে। চলুন, আমরা ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের পাশে থাকি এবং আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই।
ডা. রাহনুমা আমিন
মেডিকেল অফিসার
শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা