অঞ্জনি কেন বারবার হয়

ডা. মো. ছায়েদুল হক

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

চোখের পাতায় দুই ধরনের গ্রন্থি বিদ্যমান। একধরনের গ্রন্থি ঘাম নিঃসৃত করে এবং অন্যগুলো তৈলাক্ত রস নিঃসৃত করে। এখন কোনো কারণে এ গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘাম ও তৈলাক্ত রস সেবাম গ্রন্থির অভ্যন্তরে আটকে যায়।

এতে গ্রন্থিতে ইনফেকশন বা প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ঘর্মগ্রন্থিগুলোয় কোনো কারণে সংক্রমণ হলে পাপড়ির থলি বা ল্যাশ ফলিকুলে পুঁজ জমা হয়ে ফুলে যায়। এটি লালচে বর্ণ ধারণ করে ও ব্যথা হয়। এটিই অঞ্জনি।

প্রশ্ন হলো, কেন সবার অঞ্জনি হয় না, আবার কারও কারও কিছুদিন পরপরই হয়। বিভিন্ন কারণে এ সংক্রমণ বা প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চোখের পাতায় খুশকি বা ব্লেফারাইটিস, ত্বকের সমস্যা যেমন সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, রসাসিয়া একনি ইত্যাদি।

অঞ্জনি কেন বারবার হয় :

এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হরমোনের প্রভাব, শুষ্ক ত্বক, চোখের স্ট্রেস যেমন রাত জাগা বা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে কাজ করা, চোখে বারবার হাত দিয়ে রগড়ানো বা চুলকানো ইত্যাদি কারণে অঞ্জনির ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রসাধনীর কারণেও ঝুঁকি বাড়তে পারে।

উপসর্গ :

পাপড়ির গোড়ায় ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়।

ব্যথা থাকে ও স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় লালচে ভাব পরিলক্ষিত হয়।

পাপড়ির গোড়ায় ক্রাস্ট বা শক্ত ময়লা বিশেষ জমতে পারে।

অঞ্জনির মতো আরও একটি সমস্যা হলো কেলাজিয়ন। এটি হলো মেবোমিয়ান গ্রন্থির প্রদাহ। এটি কোনো সংক্রমণ নয়। তাই এতে কোনো ব্যথা থাকে না। অঞ্জনি এক থেকে দুই সপ্তাহে সেরে গেলেও কেলাজিয়ন অনেক সময় কয়েক মাস বা তারও বেশি সময় একই রকম থাকতে দেখা যায়।

চিকিৎসা :

হট কমপ্রেসন বা গরম সেক দিলে অনেক সময় উপকার পাওয়া যায়।

ডা. মো. ছায়েদুল হক

চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন

সাবেক সহযোগী অধ্যাপক

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান

ও হাসপাতাল