বিষণ্নতাকে আপাতদৃষ্টে মানসিক সমস্যা বলে মনে হলেও এর গভীরে রয়েছে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের অনুপাতের অসামঞ্জস্য। এ জন্য বিষণ্নতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলোর মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত ওষুধ হলো সিলেকটিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটর, যা রক্তে সেরোটোনিনের বিভাজন রোধ করে।
রক্তে সেরোটোনিন বাড়ানোর খুব সহজ উপায় হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম করলে শরীরে অধিক মাত্রায় সেরোটোনিন তৈরি হয়। আমাদের চামড়ায় যখন সূর্যের আলো পড়ে তখন নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসৃত হয়ে ত্বকের রক্তনালিকে প্রসারিত করে। তখনও সেরোটোনিন তৈরি হয়।
আমাদের চামড়ায় যখন সূর্যের আলো পড়ে, তখন নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসৃত হয়ে ত্বকের রক্তনালিকে প্রসারিত করে। তখনও সেরোটোনিন তৈরি হয়। সেরোটোনিনের রাসায়নিক গঠনের মধ্যে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামের একধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। ট্রিপটোফ্যান বিভিন্ন খাদ্য উৎস থেকে পাওয়া যায়। যেমন- দুধ, পনির, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার।
কাজেই এ ধরনের খাবার আমাদের খাদ্যতালিকায় থাকলে সেরোটোনিন উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত ট্রিপটোফ্যান পাওয়া যাবে। ফলে বিষণ্নতাকে দূরে ঠেলে পাঠানোর জন্য নিয়মিত দুধ, পনির, বাদাম, বীজ, কফি, বেরিজাতীয় ফল, ওটস, ডার্ক চকলেট, সামুদ্রিক মাছ, ওটমিল, টাটকা শাকসবজি, ফল, সয়া- এগুলো খেতেই পারেন।
ডা. রেজিনা নোভা
সহকারী সার্জন, ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট অব অফথালমোলজি