ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমানে নীরব অতিমারি হয়ে দাঁড়িয়েছে’

২০২১ সালে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে প্রয়োজন ছাড়াই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে স্বল্প মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই চিকিৎসা যথেষ্ট ছিল। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিউমোনিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ শিশু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনে ভুগছিল। ‘কারবাপেনেম’ যা প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি হিসেবে চূড়ান্ত অবলম্বন হিসেবে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে-
‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমানে নীরব অতিমারি হয়ে দাঁড়িয়েছে’

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বর্তমানে নীরব অতিমারি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। তিনি বলেন, এ নীরব অতিমারি মোকাবিলায় এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে। আর বেশি দেরি করা কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না। ১৯ মার্চ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর এলাহী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট একটি নীরব ঘাতক-বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সচেতনতা বাড়াতে আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সেমিনারে বলা হয়, সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে রোগ জীবাণুর প্রতিরোধী হয়ে ওঠাকে একটি নীরব অতিমারি হিসেবে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক।

২০২১ সালে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে প্রয়োজন ছাড়াই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে স্বল্প মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই চিকিৎসা যথেষ্ট ছিল।

আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিউমোনিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ শিশু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনে ভুগছিল।

‘কারবাপেনেম’ যা প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি হিসেবে চূড়ান্ত অবলম্বন হিসেবে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্ব দেন সেমিনারের আলোচকরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত